আড়াইশো বছরে ‘বুড়িমার পুজো’, এবার মা জগদ্ধাত্রী সাজবেন ৭ কেজির গয়নায়
কৃষ্ণনগর নামটা শুনলেই মনে পড়ে জগদ্ধাত্রী পুজোর কথা। কৃষ্ণনগরের অন্যতম বিখ্যাত জগদ্ধাত্রী পুজো হল বুড়িমার পুজো। করোনা কাটিয়ে চেনা ছন্দে ফিরছে পুজো, এবার সাত কেজির গয়না দিয়ে সাজানো হবে কৃষ্ণনগরের বিখ্যাত বুড়িমাকে। যা সর্বকালীন রেকর্ড হতে চলেছে। মনে করা হচ্ছে, গয়নার দাম তিন কোটি ছাড়িয়ে যাবে। পুজো উদ্যোগক্তারা জানাচ্ছেন, এবার নতুন কিছু গয়না বানানো হয়েছে।
মানসিক পূর্ণ হলে, প্রতি বছর ভক্তরা মাকে সোনার অলংকার দান করেন। ভক্তদের দেওয়া গয়না দিয়েই সেজে ওঠেন বুড়িমা। কৃষ্ণনগর চাষাপাড়া বারোয়ারির বুড়িমা পুজো এবার আড়াইশো বছরে পা দিল। এ বছর এক লক্ষ মানুষকে ভোগ খাওয়ানো হবে। মায়ের মন্দিরও নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষ বুড়িমা পুজোতে সামিল হন। জনজোয়ার চলে। বুড়িমার ভাসান শহরের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। দেখার মতো হয় বুড়িমার ভাসান, লক্ষ লক্ষ মানুষ পদযাত্রায় হাঁটেন। সাঙে করে প্রথমে রাজবাড়ি, সেখান থেকে ফের কদমতলা ঘাটে নিয়ে আসা হয় প্রতিমা। রাস্তায় সেই সময় পা রাখার জায়গা থাকে না।
বুড়িমাকে অত্যন্ত জাগ্রত বলেই মনে করেন ভক্তরা। সারা বছর ধরে বহু মানুষেরা মানসিক করেন বুড়িমার কাছে। সারা শরীরে সোনার গয়নায় অলঙ্কৃত হন মা। একদা চাষাপাড়ার জগদ্ধাত্রী প্রতিমা চাষা মা বলেই খ্যাত ছিল। অধুনা তিনি সবার বুড়িমা। কথিত আছে, রাজা কৃষ্ণচন্দ্র প্রথম জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রচলন করেন। তারপরই চাষাপাড়া বারোয়ারির জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়। প্রজারাই মিলিতভাবে এই পুজো শুরু করেন। আড়াইশো বছর অতিক্রান্ত আজও চলছে বুড়িমার পুজো। বয়স বাড়লেও ঐতিহ্যে কোনও ছেদ পড়েনি।কৃষ্ণনগরবাসীর আবেগের নাম বুড়িমা