এবার পালা জগদ্ধাত্রী আরাধনার, প্রস্তুত হচ্ছে চন্দননগর
উমা, কালিকার পর এবার হৈমবতীর আরাধনার পালা। আর হৈমবতীর আরাধনা মানেই চন্দননগর। করোনার কারণে বিগত দু-বছর চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজো ছিল ম্লান, জাঁকজমকহীন। এ বছর জগদ্ধাত্রী পুজো পুরনো ছন্দে ফিরতে চলেছে। করোনা পূর্ববর্তী বছরগুলোর মতোই এবারও বিসর্জনের শোভাযাত্রায় চকম দিতে চলেছে চন্দননগর। এবার প্রবল ভিড়ের আশঙ্কা করছে পুজো কমিটিগুলি, ভিড় নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থাও করা হচ্ছে।
জানা যাচ্ছে, চলতি বছর চতুর্থী ও পঞ্চমীর দিন থেকে বেশ পুজোর উদ্বোধন শুরু হয়ে যাবে। মনে করা হচ্ছে, এই বছর রেকর্ড সংখ্যক দর্শনার্থীর সমাগম হবে চন্দননগরে। নিরাপত্তা ও দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে চন্দননগরে কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কেন্দ্রীয় কমিটির অধীনে চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে গত বছর অবধি মোট ১৭১ টি পুজো হয়েছে। এবার সেই সংখ্যাটা বেড়ে হচ্ছে ১৭৬। চন্দননগরে ১৩২টি ও ভদ্রেশ্বরে ৪৪ টি পুজো হচ্ছে। কেন্দ্রীয় কমিটির দাবি, এবার বিসর্জনে সর্বকালের সেরা আলোক শোভাযাত্রা দেখা যাবে। ৬১টি পুজো কমিটি তাতে অংশগ্রহণ করবে।
দশমীর সন্ধে থেকে সমগ্র চন্দননগরজুড়ে ২২৮ টি লরির সাহায্যে আলোক শোভাযাত্রা পরিক্রমা করবে। চন্দননগরের সাতটি ও ভদ্রেশ্বরের সাতটি, সর্বমোট ১৪টি ঘাটে বিসর্জন হবে। বিসর্জনের শোভাযাত্রায় পুজো কমিটিগুলি ব্যান্ডে ৪০ জন এবং ১২ জনের বেশি ঢাকি রাখতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পুজোকে কেন্দ্র করে আতসবাজি পোড়ানো, ডিজে বাজানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে প্রতিটি পুজো মণ্ডপে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে। এছাড়াও পুজো মণ্ডপে প্রাথমিক চিকিৎসা, পানীয় জল ও টয়লেটের ব্যবস্থা থাকবে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় পুজো কমিটি।
পুজো চলাকালীন কোনদিন দুপুর বারোটা, আবার কোনদিন দুপুর দুটো থেকে যান চলাচলে নো এন্ট্রি থাকবে। চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে নো এন্ট্রি বিষয়ক নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। দুই বছর পর, করোনা কাটিয়ে ফের চন্দননগর উৎসবে মাততে চলেছে। জগদ্ধাত্রী পুজোর আনন্দ ভাসতে চলেছে গঙ্গাপাড়ের ঐতিহাসিক জনপদ।