পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে নির্বিঘ্নে ছট পুজো সম্পন্ন করতে প্রস্তুত প্রশাসন
এবারও ছট পুজোকে কেন্দ্র করে রবীন্দ্র এবং সুভাষ সরোবরে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে কেএমডিএ। পরিবেশ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, আগামী কয়েকদিন এই দুই লেকে জনসাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ।
কেএমডিএ-র এক শীর্ষ আধিকারিক জানিছেন, ‘‘রবীন্দ্র সরোবরের ১২টি গেট রয়েছে। প্রতিটি প্রবেশপথে বাঁশের ব্যারিকেড করে টিন দিয়ে ঘিরে ফেলা হচ্ছে। সরোবরের চার দিকে ডেপুটি পুলিশ কমিশনারের নেতৃত্বে মোতায়েন থাকবে বিরাট পুলিশবাহিনী। এ ছাড়া, গোবিন্দপুর রেল কলোনির দিকেও রেল পুলিশ মোতায়েন থাকবে।’’
দুই সরোবরে যাতে কেউ ছটপুজো না করেন, তার জন্য দিন দুয়েক আগে থেকে ট্যাবলোয় প্রচার চলছে বলে জানিয়েছেন কেএমডিএ-র আধিকারিকেরা। সচেতনতা বাড়াতে পথনাটিকারও ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুভাষ সরোবরেও পাঁচটি গেটে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
লালবাজারের এক কর্তা জানান, নির্বিঘ্নে ছট পালনের জন্য প্রায় পাঁচ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন থাকবেন শহর জুড়ে। নিরাপত্তার জন্য শহরে রবিবার থেকে ১৭০টি পুলিশ-পিকেট তৈরি থাকবে। প্রতি বছরই ছটপুজো উপলক্ষে নিষিদ্ধ বাজি ফাটানো এবং ডিজে বক্স বাজানোর অভিযোগ ওঠে। এ বার শোভাযাত্রা হলে যাতে ডিজে বা বড় বড় বক্সে গান বাজানো না হয়, তা দেখার জন্য বাহিনীকে বলা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলিয়ে ৪৭টি বিকল্প ঘাটের ব্যবস্থা করেছে কেএমডিএ। পুরসভার তরফ থেকেও ৯ থেকে ১০টি জায়গায় কৃত্রিম জলাশয়ের আয়োজন করা হয়েছে। পাশাপাশি, গঙ্গার ১৭টি ঘাট ও বিভিন্ন এলাকায় ১০৮টি ছোট-বড় পুকুর বা জলাশয়ে ছটপুজোর আয়োজন করেছে প্রশাসন। পানীয় জল, শৌচালয়, আলো, পোশাক পরিবর্তনের ঘর থাকবে বিকল্প ঘাটগুলিতে। থাকবে পর্যাপ্ত পুলিসি ব্যবস্থা। পুলিস জানিয়েছে, ৩০ ও ৩১ অক্টোবর শহরে কোনও মালবাহী গাড়ি (অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া) চলাচলের অনুমতি দেওয়া হবে না। অন্যদিকে, হাওড়ায় ৭৫টি ঘাট তৈরি রাখা হচ্ছে ছটের জন্য। বিপজ্জনক ঘাটগুলিতে ব্যারিকেড, নদীর খালি অংশে পুলিস মোতায়েন সহ একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকবে সব জায়গায়। প্রতিটি ঘাটেই পুলিস থাকবে। রামকৃষ্ণপুর ঘাট, তেল কল ঘাট, শিবপুর ঘাট, ছাতুবাবুর ঘাটের মত বড় বড় ঘাটগুলিকে ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে দেওয়া হবে।