চন্দননগরের আকর্ষণ বিসর্জনের শোভাযাত্রা, এবার জমে উঠেছে থিমের লড়াই
চন্দননগর আর জগদ্ধাত্রী পুজো প্রায় সমার্থক, বিসর্জনের শোভাযাত্রাই চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর অন্যতম সেরা আকর্ষণ। আলোয় আলোয় মেতে ওঠে গঙ্গা তীরের ঐতিহাসিক জনপদ। নানান বর্ণময় ভঙ্গিমায় সাজিয়ে দেবীর বিসর্জন পর্ব, সেই সঙ্গে চন্দননগরের আলোকশিল্পীদের কেরামতি, সব মিলিয়ে অনবদ্য এক মেলবন্ধন। বিসর্জনের শোভাযাত্রা বাংলার সংস্কৃতির প্রতিচ্ছবি। শোভাযাত্রা নিয়ে ঢাক ঢাক-গুরগুর ব্যাপার রয়েছে। কোন পুজো কমিটি কেমন কী করবে, তা একেবারেই গোপন রাখা হয়। কাকপক্ষীও যেন টের না পায়। তার কারণ অবশ্য একে অপরকে টেক্কা দেওয়া। করোনার পর ফের চেনা ছন্দে পুজো, চন্দননগরের কেন্দ্রীয় পুজো কমিটি সাফ জানিয়েছে, এবার রেকর্ড ভিড় হবে। এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।
জানা গিয়েছে, এবারের শোভাযাত্রায় চন্দননগরের ৫১টি ও ভদ্রেশ্বরের ১০টি পুজো কমিটি থাকবে। মোট ২২৮টি লরিতে শোভাযাত্রা আয়োজিত হবে। ভিড় নিয়ন্ত্রণ ও শোভাযাত্রা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট পদক্ষেপ করছে। পুলিশ-প্রশাসন তরফে যাবতীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা করা হয়েছে।
প্রত্যেক পুজো কমিটিই বিসর্জনের শোভাযাত্রায় থিম করছেন। কেউ আগাম বলতে রাজি নয়। পুজোর শেষলগ্নে শোভাযাত্রা নয়া আকর্ষণ হতে চলেছে। তবে জানা গিয়েছে, চন্দননগরের বড়বাজার সর্বজনীনের এবারের শোভাযাত্রার থিম হচ্ছে ‘পুজো’, বাগবাজারের শোভাযাত্রা থিম ‘ভাবনায় ভবিষ্যৎ’। শুকসনাতনতলার থিম ‘দর্শনীয় ভারত’। বলাইবাহুল্য, টেক্কা দেওয়ার লড়াইয়ে এবারের বিসর্জনের শোভাযাত্রা বেশ আকর্ষণীয় হচ্ছে।