রুদ্ধশাস! বৃষ্টি, ডাকওয়ার্থ-লিউইসও সাথ দিল না সাকিবদের, ৫ রানে জয়ী ভারত
বৃষ্টি এবং ডাকওয়ার্থ-লিউইসের চক্করে অনেকটাই খুলে গেছিল জয়ের মুখ, কিন্তু বড় দাদাদের সঙ্গে লড়াইয়ে স্নায়ুযুদ্ধে হেরে গেলেন সাকিবরা। ব্যর্থ হল লিটনের অসাধারণ অর্ধ শতরান। বাংলাদেশকে ৫ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালের রাস্তা মজবুত করল রোহিতরা।
আজ টসে জিতে রোহিতদের ব্যাট করতে পাঠান সাকিব। শুরুতেই তাসকিনের বলে সহজ ক্যাচ ফেলে দেন হাসান। কিন্তু পরের ওভারে বল করতে এসে রোহিতের (২) উইকেটটি তুলে নেন তিনি। কিন্তু আজ সমালোচকদের চুপ করিয়ে ৩২ বলে ৫০ রান করলেন কেএল রাহুল। সূর্যকুমারকে আজ ৩০ রান করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল। রান পেলেন না হার্দিক এবং দীনেশ কার্তিকও। তবে ভারতীয় সমর্থকদের চোখের মণি বিরাট কোহলি আজ আবারও জ্বলে উঠলেন। তাঁর ৪৪ বলে ৬৪ রানের ইনিংসে ছিল ৮টা বাউন্ডারি আর ১টা ওভার বাউন্ডারি। শেষের দিকে অশ্বিনের ৬ বলে ১৩ রান ভারতের স্কোরকে এগিয়ে নিয়ে যায় ১৮৪/৬-এ। বাংলাদেশের পক্ষে ভাল বল করলেন তাসকিন (৪ ওভারে ১৫ রান) এবং হাসান (৪৫/৩)। অধিনায়ক সাকিব পেলেন ২টি উইকেট।
জিততে হলে করতে হবে ১৮৫, এই অবস্থায় ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। ভালো শুরু করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার শান্ত এবং লিটন। ৭ ওভারে বিনা উইকেটে ৬৬ রান তুলে ফেলেছিলেন তাঁরা। ২১ বলে অর্ধশতরান করেন লিটন, যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে দ্বিতীয় দ্রুততম অর্ধশতরান। তার পরেই নামে বৃষ্টি। বেশ কিছুক্ষন খেলা বন্ধ থাকার পর ডাকওয়ার্থ-লিউইসের হিসেবে ১৬ ওভারে ১৫১ রানের টার্গেট দেওয়া হয় বাংলাদেশকে। আবার খেলা শুরু হতেই ব্যক্তিগত ৬০ রানে রাহুলের দুর্দান্ত থ্রোয়ে রানআউট হন লিটন। এর পরেই সামির বলে আউট হন শান্ত (২১)। একের পর এক বেহিসেবি শট খেলে উইকেট হারাতে থাকেন বাংলাদেশী ব্যাটাররা। শেষের দিকে তাকসিন এবং নুরুলের লড়াই সত্বেও নির্ধারিত ১৬ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৫ রান তুযে ৫ রানে হেরে গেল বাংলাদেশ। অর্শদীপ এবং হার্দিক পেলেন ২টি করে উইকেট।