হাতাহাতিতে জড়ালেন দুই বিজেপি নেতা, পঞ্চায়েতের আগে মেদিনীপুরে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির
বঙ্গ বিজেপির কোন্দল নতুন কিছু নয়, তবে দুই বিজেপি হাতাহাতির বেনজির ঘটনার সাক্ষী থাকল মেদিনীপুর। শনিবার মেদিনীপুর শহরে বিজেপির জেলা পার্টিঅফিসের মধ্যেই হাতাহাতিতে জড়ালেন দুই নেতা। বিজেপির জেলা সহসভাপতি শঙ্কর গুছাইতকে মাটিতে ফেলে মারের অভিযোগ উঠল গড়বেতার মধ্যমণ্ডলের সভাপতি ঠাকুরদাস মিদ্যার বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জেলা বিজেপির অন্দরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বিজেপির এই কোন্দলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। জেলা নেতৃত্বের অন্যতম অজিত মাইতির কথায়, দিলীপ ঘোষ এইসব কর্মীদের শিখিয়েছিলেন। সেই বিদ্যাই ব্যুমেরাং হয়ে ওদের দিকেই গিয়েছে। এখন বিজেপির কর্মীরাই নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়াচ্ছেন।
ইতিমধ্যে বিজেপির জেলা পার্টি অফিসের মধ্যে এই হাতাহাতির ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, শঙ্কর গুছাইত কিছু বলছিলেন। ভিডিও রেকর্ড করছিলেন ঠাকুরদাস মিদ্যা। হঠাৎ করেই ঠাকুরদাসের মোবাইলটি মাটিতে আছাড় মারেন শঙ্কর। তৎক্ষণাৎ শঙ্করের উপর চড়াও হন ঠাকুরদাস। দুজনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। শঙ্করবাবুর মুখে ঘুসি মেরে মাটিতে ফেলে দেন ঠাকুরদাস। এমতবস্থায় এক নেতা এসে পরিস্থিতির সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন।
স্থানীয় বিজেপি নেতারা বলছেন, শঙ্কর দীর্ঘদিনের বিজেপি কর্মী। সক্রিয়ভাবে রাজনীতি করেন। বিগত বছরের ডিসেম্বরে তাপস মিশ্রকে জেলা সভাপতি করার পর থেকেই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত। দলের উপর মহলে জানিয়েও কাজ হয়নি। তিনি বিদ্রোহীও হয়ে ওঠেন। তার উপর চড়াও হওয়া ঠাকুরদাস তাপস মিশ্রের অনুগামী বলেই পরিচিত। প্রসঙ্গত, শঙ্কর গুছাইত সহসভাপতির পাশাপাশি গড়বেতার ইনচার্জও। মাসখানেক আগে গড়বেতার এক সভায় নেতাকর্মীদের সামনে ঠাকুরদাসকে নাকি শঙ্কর অপমান করেন বলেও শোনা গিয়েছে। গত শনিবার জেলা পার্টি অফিসে এসেছিলেন ঠাকুরদাস। সেখানে নাকি তাকে ফের হুমকি দেওয়া হয়। শঙ্করের সেই কথাগুলোই নাকি রেকর্ড করছিলেন ঠাকুরদাস। তখনই ফোনটি মাটিতে আছাড় মারেন শঙ্কর। তারপরেই এই হাতাহাতির শুরু। পঞ্চায়েতের আগে এহেন কোন্দলে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির।