বায়ুদূষণ: দিল্লি-এনসিআর এলাকায় ৮০ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন অসুস্থতায় ভুগছে
শীতকাল এলেই দিল্লিবাসীর বায়ুদূষণ নিয়ে আতঙ্ক শুরু হয়ে যায়। এই সময় কুয়াশা এবং ধোঁয়া মিলেমিশে পরিবেশ হয়ে ওঠে দুর্বিষহ। দেশের রাজধানীর বায়ুদূষণের মাত্রা দেশের অন্য যে কোনও শহরের থেকে বেশি।
লোকাল সার্কলস নামে এক কমিউনিটি সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম রবিবার একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে দিল্লি-এনসিআর এলাকায় বাতাসের গুণমান এই মুহূর্তে খারাপ থেকে গুরুতর। দিল্লি-এনসিআর এলাকায় ৮০ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন সদস্য দূষণের জেরে অসুস্থতায় ভুগছে।
লোকাল সার্কলসের রিপোর্ট অনুযায়ী, অন্তত ১৮ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তিনি অথবা তাঁর পরিবারের সদস্য চিকিৎসক কিংবা হাসপাতালের দ্বারস্থ হয়েছেন। ২২ শতাংশ বলেছেন, তিনি পরিবারের এক বা তার বেশি সদস্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েছেন।
৮০৯৭ জন দিল্লি-এনসিআরের বাসিন্দা এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে ৬৯ শতাংশ জানিয়েছেন, তাঁরা গলা ব্যথা এবং/অথবা কাশিতে ভুগছেন। ৫৬ শতাংশের চোখ জ্বালা করার সমস্যা। ৫০ শতাংশের নাক দিয়ে জল গড়াচ্ছে কিংবা নাক বন্ধ। ৪৪ শতাংশ নিশ্বাসের সমস্যা অথবা হাঁপানিতে ভুগছেন। ৪৪ শতাংশের মাথা ধরার সমস্যা। ঘুমের সমস্যা হচ্ছে ৪৪ শতাংশের। ৩১ শতাংশ উদ্বেগের সমস্যায় ভুগছেন অথবা মনোনিবেশে সমস্যা হচ্ছে।
দূষণ মোকাবিলায় তিন দিন আগেই দিল্লিতে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা— কমিশন ফর এয়ার কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট। যার জেরে থমকে গিয়েছিল রাজধানী এবং তার আশপাশের এলাকার শিল্প, কলকারখানাগুলিও। রবিবার সেই নিয়ন্ত্রণ শিথিল করায় আবার চালু হবে দিল্লি এবং সংলগ্ন এলাকার কলকারখানাগুলি।
বেশ কিছু নির্দেশিকা এখনও জারি থাকবে বলে জানানো হয়েছে। যেমন, ৮ নভেম্বর পর্যন্ত প্রাথমিক স্কুলগুলি বন্ধই থাকবে। অন্য কোনও স্কুলও কোনও রকম আউটডোর অ্যাক্টিভিটি এই সময় করতে পারবে না বলে জানানো হয়েছে।