হিমাচল জিততে নির্দল প্রার্থীদের নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে যাওয়ার হুমকি মোদীর
নিঃশ্বাস ফেলছে হিমাচল প্রদেশ নির্বাচন, এর মধ্যেই ভাইরাল হয়ে গেল মোদীর কথোপকথন। তাও সাধারণ কথোপকথন নয়, একবারে যেন হুমকির সুরেই নির্দল প্রার্থীদের নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে যাওয়ার নিদান দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলছেন, তিনি কিছু শুনতে চান না। বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতা তথা রাজ্যসভার প্রাক্তন এমপি কৃপাল পারমারকে নির্বাচনী ময়দান থেকে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিচ্ছেন মোদী। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, কৃপাল কিছু বলার চেষ্টা করছেন, কিন্তু মোদী তাকে থামিয়ে দিচ্ছেন। শুধু হুকুম তামিল করতে হবে, ভোটের ময়দান থেকে সরে দাঁড়াতে হবে।
প্রসঙ্গত, বিজেপির টিকিট না পেয়ে কাংড়া জেলার ফতেপুর থেকে নির্দল হিসেবে প্রার্থী হয়েছেন কৃপাল। এছাড়াও পদ্মের টিকিট না পেয়ে কুলুতে রাম সিং, আনিতে কিশোর লাল, নালাগড়ে কৃষাণলাল ঠাকুর, দেহরায় হোশিয়ার সিং, ইন্দোরায় মনোহর ধীমান, কিন্নরে তেজন্ত সিং নেগিরা নির্দল প্রার্থী হয়েছেন। তালিকা বেশ দীর্ঘ, আর তাতেই ঘুম ছুটেছে বিজেপির। বিক্ষুব্ধরা নির্দল প্রার্থী হওয়ায় বেকায়দায় বিজেপি, পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে মোদী নেমেছেন। হিমাচলে রাজনৈতিক বিক্ষোভের ইতিহাসও সুদীর্ঘ। ফলে বাড়তি চাপে থাকছে বিজেপি। ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া বিজেপি। স্থানীয় নেতারা, এমনকি নাড্ডাও ফেল পড়ে গিয়েছেন। কিছুটা বাধ্য হয়েই আসরে নেমেছেন মোদী।
এরপরই পারমারকে ফোন করেন মোদী। শোনা গিয়েছে, মোদী বলেন, পারমারের জীবনে মোদীর যদি কোনও অবদান থাকে, তাহলে তিনি যেন নির্বাচনী ময়দান থেকে সরে দাঁড়ান। বাকি অভাব অভিযোগ নাকি মোদী পরে বুঝে নেবেন। সাফ কথায় ইমশনাল ব্ল্যাকমেলকেই হাতিয়ার করেন মোদী। কিন্তু খবর যা মিলেছে, মোদীর কথায় নাকি কাজ হয়নি। আর পিছু হঠা সম্ভব নয় বলেই জানিয়েছেন কৃপাল পারমার। তিনি লড়াই থেকে সরছেন না।
আগামী শনিবারই হিমাচল প্রদেশের ভোট। পাঁচ বছরে শাসক বদল, কার্যত হিমাচলের অলিখিত নিয়ম। ফলে বিজেপির কাছে ক্ষমতায় ফেরা বেজায় কঠিন যাত্রাপথ। গোদের উপর বিষফোঁড়া বিক্ষুব্ধ। ১০ জন বিধায়ককে প্রার্থী করেনি বিজেপি। ৬৮টি আসনের বিধানসভায় অনেকগুলি আসনেই বিক্ষুব্ধরা থাবা বসিয়েছেন, ফলে জয় নিয়ে ক্রমেই অনিশ্চিয়তা বাড়ছে। মরিয়া হয়ে মোদী ফোনই করে বসছেন। যদিও মোদীকে খোঁচা দিতে ছাড়েনি বিরোধীরা।