নানা দেশে প্রশংসিত হওয়ার পর এবার কলকাতার প্রেক্ষাগৃহে ‘দোস্তজি’
অবশেষে ১১ নভেম্বর কলকাতার একাধিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে চলেছে ‘দোস্তজি’। মুর্শিদাবাদের ডোমকলের সীমান্তবর্তী গ্রামের পটভূমিতে লেখা নিজের গল্প সিনেমায় ধরেছেন তরুণ চিত্র পরিচালক প্রসূন চট্টোপাধ্যায়। দেশে-বিদেশে একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কার জয়ের পর, এবার কলকাতার একাধিক প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ‘দোস্তজি’।
১৯৯৩ সালে মুম্বই হামলার প্রেক্ষাপটে মুর্শিদাবাদের ডোমকল গ্রামের দুই শিশুর নিষ্পাপ বন্ধুত্ব ঘিরে আবর্তিত হয়েছে ‘দোস্তজি’। বাবরি মসজিদ ভাঙার ঘটনার আঁচও রয়েছে এই ছবিতে। এই সিনেমায় মূল চরিত্রে অভিনয় করেছে কাঠুরিয়া গ্রামের দুই শিশু, আশিক শেখ ও আরিফ শেখ। ছবিতে শুধু পরিচালকই নতুন নন, অভিনেতা, সিনেম্যাটোগ্রাফার থেকে শুরু করে টিমের অধিকাংশই নবীশ।
দমদম ক্যান্টনমেন্টের বাসিন্দা প্রসূনের ডোমকলে যাতায়াত দীর্ঘদিনের। পরিচালক বলছেন, “সীমান্তবর্তী গ্রামের পটভূমি ধরতে চেয়েছিলাম। স্থানীয় আনকোরা মানুষজনকে নিয়েই কাজ করেছি। শহরের বিভিন্ন প্রযোজকের দরজায় ঘুরেছি কিন্তু সাড়া পাইনি। ২০১৭ সালে ক্রাউড ফান্ডিং করে কিছু টাকা জোগাড় করি। কিন্তু তাতে পুরো সিনেমার খরচ ওঠেনি।” গত নভেম্বরে ন্যাশনাল ফিল্ম ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন আন্তর্জাতিক বাজারে এই প্রকল্পটি তুলে ধরলে, তাইওয়ানের প্রযোজক আইভি ইউ-হুয়া শেন এই প্রকল্পে যুক্ত হন।
এই মুহূর্তে জাপানে রয়েছেন প্রসূন। সেখান থেকে সংবাদমাধ্যমকে প্রসূন বলেন, ‘ফিল্ম মেকিংয়ে আমার কোনও প্রফেশনাল ট্রেনিং নেই। আমি কোনও ফিল্ম স্কুলেও পড়িনি। কাউকে অ্যাসিস্ট করারও কোনও সুযোগ পাইনি। সেখান থেকে দাঁড়িয়ে প্রথম ছবিটা আজকে যতটুকু এসছে, খুবই ভালো লাগছে। এটা আমাদের সকলের, গোটা টিমের সম্মিলিত পরিশ্রমের ফল। বিশ্বের ২৩-২৪টা দেশে ঘুরে দর্শক এবং সামলোচক, সকলের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। আশা করি আমাদের নিজেদের জায়গা, নিজেদের দেশ, বাংলার দর্শকের ভালো লাগবে ছবিটা। ভালো লাগছে খুব।’