মোদীর জেদে নভেম্বরে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন ঘিরে ঘনাচ্ছে অনিশ্চয়তা?
মোদীর স্বপ্নের প্রজেক্ট ছিল সেন্ট্রাল ভিস্তা; করোনার দ্বিতীয় ঢেউতে প্রাণ বায়ু অক্সিজেনের অভাবে মানুষ মরেছে তাও সেন্ট্রাল ভিস্তার কাজ থামাননি মোদী। সেন্ট্রাল ভিস্তার মধ্যেই গড়ে উঠছে নয়া সংসদ ভবন। ৯৭১ কোটি টাকা বাজেটের কাজ ইতিমধ্যেই বাড়তে বাড়তে প্রায় ১,২০০ কোটিতে পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু কাজ এখনও অনেক বাকি। মোদী আর কোনমতেই অপেক্ষা করতে রাজি নন। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তিতে নয়া সংসদ ভবনে শীতকালীন অধিবেশন আয়োজনের জেদ ধরে বসেছেন তিনি। সে কারণে তড়িঘড়ি কোনও মতে কাজ শেষ করে নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন করতে মরিয়া মোদী সরকার। নগরোন্নয়ন মন্ত্রক চলতি মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার ফরমান জারি করেছে। শোনা যাচ্ছে, কাজ দ্রুত শেষ করার জন্যে ১০ হাজার লোককে নামানো হতে পারে।
নির্মীয়মাণ নয়া সংসদ ভবন পরিদর্শনে গিয়ে কেন্দ্রীয় নগরোন্ননমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি সিপিডব্লুডি এবং ঠিকাদার সংস্থাকে সাফ জানান, প্রধানমন্ত্রী নতুন সংসদ ভবনে শীতকালীন অধিবেশন বসাতে চান। তাই যত ইচ্ছে লোক বাড়িয়ে দ্রুত কাজ শেষ করার নিদান দিচ্ছেন তিনি। এই মুহূর্তে দিনরাত তিন শিফটে চার হাজার শ্রমিক কাজ করছেন। সংখ্যা বাড়িয়ে ১০ হাজার করার নির্দেশও দেন মন্ত্রী। কাজ শেষ না হলে, বর্তমান সংসদ ভবনকেও শীতকালীন অধিবেশনের জন্য তৈরি রাখা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে, নতুন সংসদ ভবনে একদিনের জন্যে প্রতীকী অধিবেশন বসতে পারে।
অফিসাররা পড়েছেন মহাবিপদে। একদিনের জন্যেও অধিবেশন বসলে, যাবতীয় ফাইল-পত্র, লোকসভা-রাজ্যসভার আলোচনা-বিতর্কের রেকর্ডিং ইত্যাদি নিয়ে একবার নতুন, একবার পুরনো ভবনে করা বেশ সমস্যার। নয়া সংসদ ভবনের প্রকৃত অবস্থা না জেনে অধিবেশন সংক্রান্ত বৈঠক ডাকতেও পারছেন না প্রতিরক্ষামন্ত্রী তথা ক্যাবিনেট কমিটি অন পার্লামেন্টারি অ্যাফেয়ার্সের সভাপতি রাজনাথ সিং। নিয়ম অনুযায়ী, অধিবেশনের অন্তত ২১ দিন আগে তারিখ ঘোষণা হয়। এখনও তা হয়নি। ফলে অন্যবারের মতো নভেম্বরেই শীতকালীন অধিবেশন বসবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ডিসেম্বরে অধিবেশন বসতে পারে। তবে কোথায় বসবে, তা এখনও অনিশ্চিত।