কাতার বিশ্বকাপ স্টেডিয়াম প্রস্তুতির শ্রমিকদের পারিশ্রমিক বিতর্কে FIFA
ফুটবল বিশ্বকাপের ঢাকে কাঠি পড়ে গিয়েছে। কিন্তু তার মাঝেও রয়েছে বেদনার বিষাদ। এবারে বিশ্বকাপের আসর বসতে চলেছে কাতারে। সেখানে প্রায় সব স্টেডিয়ামই নতুন করে বানাতে হয়েছে। চোখধাঁধানো স্টেডিয়ামে মিশে রয়েছে শ্রমিকদের রক্ত জল করা পরিশ্রমে। অভিযোগ উঠছে, শ্রমিকদের ঠিকমতো পারিশ্রমিক জোটেনি। স্টেডিয়াম নির্মাণ করতে গিয়ে ভারতসহ বেশ কিছু দেশের পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে, কিন্তু মৃতদের পরিবার ক্ষতিপূরণ পায়নি বলেও অভিযোগ।
শ্রমিকদের প্রাপ্য আদায়ের দাবিতে এগিয়ে এসেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্যে ফিফার প্রেসিডেন্ট জিয়ানি ইনফ্যান্তিনোরের কাছে তারা আবেদন জানিয়েছে। চলতি বছরের মে মাসে পরিযায়ী শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণের দাবিতে অ্যামনেস্টি এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচসহ প্রায় ২৪টি সংস্থা ইনফ্যান্তিনোকে চিঠি পাঠিয়েছিল। চিঠিতে দাবি করা হয়েছিল, দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং আফ্রিকার শ্রমিকদের সঙ্গে অবিচার করা হয়েছে, বহু শ্রমিককে জোর করে কাজ করতে বাধ্য করা হয়েছে, উপযুক্ত বেতন দেওয়া হয়নি, ছুটি না দিয়ে দিনের পর দিন খাটিয়ে নেওয়ার অভিযোগও করা হয়েছিল।
বিশ্বকাপের একাধিক স্পনসর সংস্থা এই দাবি নিয়ে সরব হয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ফুটবল দল একটি ভিডিও প্রকাশ করে। সেখানে বলা হয়, কাতারে বিশ্বকাপ আয়োজনে অনেক শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নানা মহলে বিতর্কও চলছে। কদিন পর সবুজ মাঠে শুরু হবে তেকাঠির বিশ্বযুদ্ধ, অন্যদিকে প্রাপ্য পাওনা মেলার আশায় বসে থাকবে পরিযায়ী শ্রমিকের দল। বিশ্বকাপ শুরু আগেই ক্ষতিপূরণের দাবিতে কাতারের আবহ উত্তপ্ত।