মেধা তালিকায় ৯২৭ জনের নাম বদল, যোগীরাজ্যে নিট কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস
বিজেপির ডবল ইঞ্জিন রাজ্য উত্তরপ্রদেশের আবারও এক কেলেঙ্কারির পর্দা ফাঁস। নিটের মেধা তালিকায় পাল্টে গিয়েছে ৯২৭ জনের নাম। যোগীরাজ্যে কয়েক কোটি টাকার কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে এল। ২০২১-২২ সালের নিট উত্তীর্ণ একদল পড়ুয়ার অভিযোগ, আয়ুর্বেদ, হোমিওপ্যাথি ও ইউনানি কোর্সে ভর্তির ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশের সরকারি ও বেসরকারি কলেজগুলিতে বেনিয়ম হয়েছে। নিট উত্তীর্ণ না হয়েও বহু পরীক্ষার্থী সিট পেয়েছে। সিট পিছু কয়েক লক্ষ টাকা করে ঘুষ নেওয়া হয়েছে। নিট উত্তীর্ণরা রাষ্ট্রপতি ও আয়ূষ মন্ত্রকের দ্বারস্থ হয়েছেন।
অক্টোবরের শেষে আয়ূষ মন্ত্রক মুখ্যমন্ত্রী যোগীর দপ্তরে চিঠি পাঠায়। কতকটা বাধ্য হয়েও মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর থেকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। চার সিনিয়র অফিসারকে সাসপেন্ড করা হয়। যোগীরাজ্যের আয়ূষ দপ্তরের আয়ুর্বেদ বিষয়ক ডিরেক্টর এস এন সিংহকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আয়ূষ দপ্তরের শিক্ষা সংক্রান্ত অফিসার-ইন-চার্জ উমাকান্ত যাদবের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে খবর।
প্রসঙ্গত, গত বছর ১০ ডিসেম্বর নিট উত্তীর্ণদের ভর্তির জন্য একটি কাউন্সেলিং বোর্ড তৈরি করেছিল যোগী সরকার। সেই বোর্ডের প্রধান ছিলেন এস এন সিং। বোর্ডের সদস্যদের মধ্যে উমাকান্ত যাদবসহ আরও তিন অফিসার ছিলেন। দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরেই চার অফিসারকেই সাসপেন্ড করা হয়েছে। সরকারেরই অধীনস্থ আপট্রন পাওয়ারট্রনিক্স লিমিটেড নামক এক সংস্থাকে যোগী সরকারের আয়ূষ দপ্তর অনলাইন কাউন্সেলিংয়ের দায়িত্ব দেয়। তারা আবার আরেক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে চুক্তি করে। বেনিয়ম নিয়ে এখন দায় ঠেলাঠেলি চলছে।
নিটের ফল ও মেরিট লিস্ট সংক্রান্ত নথি অনুযায়ী, প্রথম তালিকায় ১ হাজার ১৮১ জনের নাম ছিল। অভিযোগ, টাকা নিয়ে, নিটে পাওয়া নম্বর অপরিবর্তিত রেখে নামগুলি বদলে দেওয়া হয়েছে। ঘুষের বিনিময়ে যোগ্যদের নাম বদলে সেখানে অযোগ্য প্রার্থীদের নাম দেওয়া হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, এমন ৯২৭টি নাম তালিকায় আনা হয়েছে, যারা নিটের কাট-অফ মার্কসই পায়নি। তার মধ্যে ২২ জন নিট পরীক্ষাই দেয়নি। এও দাবি করা হচ্ছে, সরকারি কলেজে ভর্তির জন্য সিট পিছু ৫ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে। বেসরকারি কলেজের ক্ষেত্রে সিট প্রতি ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা করে টাকা নেওয়া হয়েছে।