রসগোল্লার GI-প্রাপ্তির ৫ বছর, বাংলাজুড়ে পালিত হচ্ছে রসগোল্লা দিবস
রসগোল্লার জুড়ি মেলাভার। আজ ১৪ নভেম্বর, রসগোল্লা দিবস। আজকের দিনেই রসগোল্লা ভারত সরকারের জিআই স্বীকৃতি পেয়েছিল। ওড়িশার সঙ্গে লড়ে রসগোল্লার অধিকার আদায় করেছে বাংলা। সাদা রসগোল্লার পাশাপাশি, আজকাল নানান ধরণের নানা রকমের রসগোল্লা তৈরি হচ্ছে। কেসি দাশের কর্ণধার তথা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীদের সংগঠন মিষ্টি উদ্যোগের সভাপতি ধীমান দাশের বক্তব্য, রসগোল্লার চিরাচরিত স্বাদের কোনও তুলনা নেই। রসের গোল্লায় অভিনবত্ব এনেছিলেন কৃষ্ণচন্দ্র দাশ। ১৯৩০ সালে তিনি রসমালাই করেছিলেন। হালের ফিউশন মিষ্টি বেকড রসগোল্লার মূল ধারণা কিন্তু দুধ মেশানো রসগোল্লা।
রসগোল্লা দিবসকে ঘিরে উত্তর কলকাতার মিষ্টির দোকানগুলিতে ভয়ানক ব্যস্ততা। দেশ- বিদেশে রসগোল্লা পাড়ি দেবে। রসগোল্লার মানচিত্রে উত্তরের সঙ্গে সহাবস্থান দক্ষিণ কলকাতার। সেখানেও রসগোল্লা কিনতে লম্বা লাইন। গার্ডেনরিচের সতীশ ময়রা সাদা ও গুড় ছাড়াও ১২ রকমের রসগোল্লা পাওয়া যায়। সেখানেও ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। কলকাতার বাইরেও মহাসমারোহে রসগোল্লা দিবস উদযাপন চলছে। হুগলির চুঁচুড়ায় স্বতন্ত্র হুগলি জেলা মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতি ৩৫ হাজার রসগোল্লা নিয়ে হাজির থাকছে। দুপুর দুটো থেকে বিকেল চারটে পর্যন্ত ঘড়ি মোড়ে তারা মানুষকে রসগোল্লা খাওয়াবে। সব মিলিয়ে গোটা বাংলা মেতে উঠেছে রসগোল্লা দিবস পালন।