খাড়গের ছাড়া রাজ্যসভা পদ পাচ্ছেন জয়রাম? তুঙ্গে জল্পনা
গত মাসেই শতাব্দী প্রাচীন দল কংগ্রেসের সভাপতির পদ বসেছেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। রাজ্যসভায় কংগ্রেসের দলনেতার দায়িত্ব সামলাতেন খাড়গে। তিনি দলীয় সভাপতির পদে বসতেই শুরু হয়েছে নয়া জল্পনা। মল্লিকার্জুন খাড়গে বিহনে রাজ্যসভায় হাত শিবিরের নেতৃত্ব দেবেন কে?
উত্তর খুঁজতে চেষ্টা করল দৃষ্টিভঙ্গি:
পি চিদাম্বরম:
রাজ্যসভায় কংগ্রেসের অভিজ্ঞ নেতৃত্ব বলতেই যাদের নাম উঠে আসে, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন পি চিদাম্বরম। কেন্দ্রের একাধিক দপ্তর সামলানো এবং সংসদীয় রাজনীতির অভিজ্ঞতাসম্পন্ন চিদাম্বরমকে হয়ত দলনেতার দায়িত্বে নিয়ে আসবে না কংগ্রেস। কারণ, পি চিদাম্বরম হিন্দিতে সাবলীল নন। হিন্দি বলতে পারার অক্ষমতাই তাকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিল।
দিগ্বিজয় সিং:
প্রবীণ নেতা দিগ্বিজয় সিং গান্ধী পরিবারের খুবই বিশ্বাসভাজন, কিন্তু নানান ইসুতে বারবার বিতর্কে জড়ানোর কারণে তাকে হয়ত দলনেতার পদে বসানো হবে না।
প্রমোদ তিওয়ারি:
দলনেতা হওয়ার জন্য প্রয়োজন গ্রহণযোগ্য একটি মুখ। দলনেতা হওয়ার মতো গ্রহণযোগ্যতা প্রমোদ তিওয়ারির নেই, সাফ কথায় তিনি হেভিওয়েট নন, ফলে তিনিও বাদ।
জয়রাম রমেশ:
কয়েকটি নাম ঘোরাফেরা করলেও, মনে করা হচ্ছে জয়রাম রমেশকেই খাড়গের আসনে অভিষিক্ত করা হবে। প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জয়রাম অধুনা জনসংযোগের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। হাল আমলে তিনি দলের অন্যতম মুখ হয়ে উঠে আসছেন। গান্ধী পরিবারেরও ঘনিষ্ঠ তিনি। কর্নাটকের বিধানসভা নির্বাচনও আসন্ন। জয়রাম কর্ণাটক থেকেই রাজ্যসভার সাংসদ হয়েছেন, ফলে তাকে রাজ্যসভার দলনেতার পদে বসিয়ে ফায়দা তুলতে পারে হাত শিবির।
প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই খাড়গে কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধীর কাছে তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়েছেন। যদিও খবর, সোনিয়া এখনও খাড়গের ইস্তফা গ্রহণ করেননি। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, আপাতত কিছু সময়ের জন্যে দলীয় সভাপতির পাশাপাশি রাজ্যসভায় কংগ্রেসের দলনেতার পদেও কাজ চালিয়ে যাবেন খাড়গে। কিন্তু আগামীতে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের নতুন দলনেতা হিসেবে জয়রাম রমেশই যে খাড়গের আসনে বসবেন, তা কার্যত নিশ্চিত।