এবার আম জনতার কাঁধে আরও বোঝা, বাড়তে চলেছে ওষুধের দাম
এবার দাম বাড়তে চলেছে ওষুধেরও। শোনা যাচ্ছে, অন্তত ২০ শতাংশ বাড়তে পারে ওষুধের দাম। সরকারের মূল্য নিয়ন্ত্রণ বিধির আওতায় নেই, এমন ওষুধগুলির দাম বাড়াতে পদক্ষেপ করছে ইন্ডিয়ান ড্রাগস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। অধিকাংশ ওষুধই সরকারের নিয়ন্ত্রণ বিধির আওতায় নেই। ফার্মাসির পরিভাষায় এদের নন-শিডিউলড ড্রাগ বলা হয়। চলতি বছর ইন্ডিয়ান ড্রাগস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন নন-শিডিউলড ড্রাগগুলির দাম ১০ শতাংশের বদলে ২০ শতাংশ বৃদ্ধি করতে চেয়ে মোদী সরকার ও নীতি আয়োগকে চিঠি লিখেছে।
মূল্য বৃদ্ধি ও টাকার পতনে, আমদানি খরচ বাড়ছে; ফলে উৎপাদন খরচ বাড়ছে। নন শিডিউলড ড্রাগের ক্ষেত্রে ওষুধ উৎপাদনের জন্য বিদেশ থেকে আনা উপকরণ অর্থাৎ কাঁচামালের দাম গগণচুম্বী। মূল্যবৃদ্ধির জেরে প্যাকেজিং ও পরিবহণ খরচ আকাশ ছুঁয়েছে। কার্যত তারা জানাচ্ছে ওষুধ দাম বাড়ানো ছাড়া আর কোনও উপায় নেই।
উল্লেখ্য, ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটির ড্রাগ প্রাইস কন্ট্রোল অর্ডারের ১৯ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, নন শিডিউলড ওষুধের দাম প্রতি বছর সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যায়। সেই বিধি সংশোধনের আর্জি জানিয়েছে সংগঠনটি। খবর মিলছে, ওষুধের দাম যে এক ধাক্কায় ২০ শতাংশ বাড়ানো হতে চলেছে, তা প্রায় নিশ্চিত। কারণ, ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলি রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছে, ওষুধের দাম না বাড়ানো হলে উৎপাদন হ্রাস পাবে। ওষুধের চাহিদা মিটবে না, সঙ্কটের সৃষ্টি হবে। আম জনতাকেই ভুগতে হবে, অন্যদিকে দাম বাড়লে সাধারণ মানুষের ঘাড়েই তার কোপ পড়বে।