মূল্যবৃদ্ধির জেরে সঞ্চয় থেকে পিছু হঠছে আমজনতা, শঙ্কিত RBI
মোদী আমলে ক্রমাগত বিপন্ন দেশের সাধারণ মানুষ, দু-বেলার খাবার জোগাড় করাই এখন কঠিন চ্যালেঞ্জ। মূল্যবৃদ্ধির জেরে সংসারের চাকা চালানো দায়, ঋণের বোঝা দিন দিন বাড়ছে। সঞ্চয় যে কী বস্তু তা ভুলতে বসেছে আমজনতা। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে সেই উদ্বেগ বার্তা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, ব্যাঙ্কে টাকা জমা রাখার হার দিন দিন কমছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলির মতে, মূল্যবৃদ্ধিই এই প্রবণতার প্রধান কারণ। তারা রিজার্ভ ব্যাঙ্ককেও তা জানিয়েছে।
অন্যদিকে, বেকারত্বের হার রেকর্ড গড়েছে। নতুন কর্মসংস্থান হলে, তবে ব্যাঙ্কের প্রয়োজন পড়তে পারে। সেটাই যখন নেই, ফলে সে বালাইও নেই। ফলে ঋণ গ্রহণের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ব্যাঙ্কে টাকা জমা রাখার প্রবণতা কমছে। সাম্প্রতিক রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২১ সালের তুলনায় ব্যাঙ্কে টাকা জমার বৃদ্ধির হার হ্রাস পেয়েছে। ডিপোজিট গ্রোথ রেট ছিল ১০.২ শতাংশ থেকে কমে চলতি বছরে ৯.৬ শতাংশ হয়েছে।
অন্যদিকে, ঋণ গ্রহণের হার অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২১ সালে ঋণ গ্রহণের হার ছিল ৬.৫ শতাংশ, চলতি বছর তা বেড়ে ১৭.৯ শতাংশে পৌঁছেছে। প্রায় ১০ মাস ধরে, ব্যাঙ্কের সঞ্চয়ের পরিমাণ কমছে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পক্ষেত্রে ঋণের গ্রহণের প্রবণতা ক্রমেই বাড়ছে। ২০১৬ সালে নোট বাতিলের পর থেকেই, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সংস্থাগুলি সংকটে পড়ে। সেই সময় অসংখ্য সংস্থা বন্ধ হয়ে যায়। প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ে। বহু সংস্থাই আর ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। ঋণ নেওয়ার প্রবণতা প্রমাণ করছে, সংস্থাগুলি ঘুরে দাঁড়ানোর মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে।
রিজার্ভ ব্যাঙ্ক মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণ করতে রেপো রেট বাড়িয়ে গিয়েছে। যার ফলে ব্যাঙ্কঋণের সুদের হার ক্রমেই বেড়েছে। গ্রামীণ ভারতের বেকারত্বও বেড়েছে। মূল্যবৃদ্ধির ঠেকাতে ফেল মোদী সরকার। আমদানি খরচ বিপুল হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। টাকার পতনও অব্যাহত। সামগ্রিকভাবে এই সমস্ত কারণের জন্যেই ক্রমশ টাকা জমানো থেকে সরে আসতে বাধ্য হচ্ছে সাধারণ মানুষ।