শনিবার থেকে বন্ধ সাঁতরাগাছি সেতুর একটি লেন, বিকল্প কোন রাস্তা ব্যবহার করবেন জেনে নিন
১৯ নভেম্বর অর্থাৎ শনিবার থেকে সাঁতরাগাছি সেতুর জরুরি মেরামতি শুরু হলে ভারী গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ থাকবে। শনিবার ভোর থেকেই যান চলাচলে নিয়ন্ত্রণ আনা হবে সাঁতরাগাছি সেতুতে। ব্রিজের একদিকের লেন দিয়ে গাড়ি যাতায়াত করবে, বন্ধ থাকবে অন্যদিকের রাস্তা। ভোর ৬টা থেকে রাত ১০টা অবধি চলবে যানবাহন। বন্ধ থাকবে রাতের বাকি সময়টুকু। শুরুর পর যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাবে।
শুক্রবার সকালে রাজ্য পরিবহণ দপ্তর একটি নির্দেশিকায় জানিয়েছে যে, ব্রিজ মেরামতির কাজ শুরু হবে ১৯ নভেম্বর। তবে কাজ কবে শেষ হবে, তা এখনও নিশ্চিতভাবে বলা হয়নি। মনে করা হচ্ছে, কাজ শেষ শেষ হতে এবছর শেষ হয়ে যাবে। তার থেকে বেশি সময় লাগলেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। যার ফলে অনেকেই আশঙ্কা করছেন যে, এভাবে ব্রিজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কলকাতা ও শহরতলিতে যান চলাচলে ব্যাপক সমস্যা হতে পারে সরকারি নির্দেশিকা মেনে পরিবর্তিত যাত্রাপথে পণ্যবাহী গাড়ি পাঠাতে যাতে সুবিধা হয়, তার জন্য গন্তব্য কাগজে লিখে চালককে উইন্ডস্ক্রিনে তা সেঁটে রাখতে বলেছেন পুলিশকর্তারা। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, সব যাত্রিবাহী গাড়ি, বাস, অ্যাম্বুল্যান্স-সহ ছোট গাড়ি ভোর ৫টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত ওই সেতু ব্যবহার করবে। যাত্রিবাহী গাড়িগুলি দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোল প্লাজ়া থেকে হাংসাং ক্রসিং, ড্রেনেজ ক্যানাল রোড, শানপুর ক্রসিং, হাওড়া-আমতা রোড থেকে সলপ মোড় হয়ে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরতে পারবে। ওই রাস্তা দু’দিকেই ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে।
পাশাপাশি, খড়্গপুরমুখী যাত্রিবাহী গাড়ি, অ্যাম্বুল্যান্স-সহ জরুরি পরিষেবায় যুক্ত গাড়ি দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে হাওড়া-আন্দুল রোড, মৌড়িগ্রাম উড়ালপুল, আলমপুর হয়ে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে যেতে পারবে। ওই রাস্তাও রাত-দিন খোলা থাকবে।
অন্য দিকে, কলকাতা থেকে যাওয়া পণ্যবাহী গাড়ি দ্বিতীয় হুগলি সেতু থেকে আলমপুর, আন্দুল রোড ধরে রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে যাতায়াত করতে পারবে। ওই একই সময়ে কলকাতার দিক থেকে পণ্যবাহী ভারী ট্রাক এবং অন্য যান টালা সেতু, নিবেদিতা সেতু, ডানকুনি হয়ে দু’নম্বর জাতীয় সড়কেও যেতে পারবে। আবার খড়্গপুরের ডিম থেকে যেই পণ্যবাহী গাড়িগুলি কলকাতার দিকে আসবে, সেগুলি ধূলাগড়, আলমপুর, বালি, নিবেদিতা সেতু হয়ে কলকাতা ঢুকে টালা ব্রিজ ধরতে পারবে।