রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

সাংসদ হতে মরিয়া জনবিচ্ছিন্ন গেরুয়া বিধায়করা? ক্ষুব্ধ BJP-র কেন্দ্রীয় নেতা

November 23, 2022 | 2 min read

ইচ্ছে ছিল বিধানসভার সদস্য হবেন, ইচ্ছে পূরণ হয়েছে। এবার লক্ষ্য সাংসদ হওয়া। জনের সঙ্গে এখন আর যোগাযোগ রাখেন না জনপ্রতিনিধিরা। জনবিচ্ছিন্ন জনপ্রতিনিধিরা অধুনা এমপি হওয়ার জন্য ব্যস্ত। এমন অভিযোগ উঠছে গেরুয়া শিবিরের জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে, অভিযোগ করছেন খোদ বিজেপির একাধিক জেলা সভাপতি। দলের রিপোর্টে সেই তথ্য উঠে এসেছে। সে সূত্র ধরেই কেন্দ্রীয় নেতা সতীশ ধোন্দ (Satish Dhonda) ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

বঙ্গ বিজেপির ভেঙে পড়া সংগঠনের হাল ফেরাতে, অমিত শাহ গত জুলাইয়ে সতীশকে গোয়া থেকে বাংলায় পাঠিয়েছিলেন। সোমবার বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। ওই বৈঠকেই সতীশ ধোন্দ বিজেপি বিধায়কদের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি সাফ বলছেন, এলাকায় লোকেদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই গেরুয়া নেতাদের। বুথ পর্যায়ে, সংগঠনের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই।

বিধায়ক ও এমপিদের সঙ্গে রাজ্য সংগঠনের কোনও সমন্বয় নেই, তাতেই বেজায় চোটেছেন কেন্দ্রের নেতা। তিনি বলছেন, বহু বিধায়ক এখন থেকেই ২৪-এর লোকসভা ভোটের টিকিট জোগাড়ে ব্যস্ত হয়ে উঠেছেন। শোনা গিয়েছে, জেলা সভাপতিরা নাকি রিপোর্টে জানিয়েছেন গেরুয়া বিধায়করা নিজের এলাকার বাইরেই বেশি সক্রিয়। এও শোনা যাচ্ছে, অনেকেই নাকি এমপি হতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তারা আবার নিজেদের বিধানসভা কেন্দ্রের বাইরে বেশি তৎপর। নেতাদের আসন্তোষে স্পষ্ট হয়েছে পঞ্চায়েত ভোটের আগে বুথ এমনকি মণ্ডল পর্যায়েও কর্মী পাচ্ছে না বিজেপি (BJP)।

শোনা যাচ্ছে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর গড় বলে পরিচিত পূর্ব মেদিনীপুরে নাকি গত ছ’মাস ধরে ময়না ও হলদিয়া বিধানসভার পাঁচটি মণ্ডল কমিটি গঠন করা যাচ্ছে না। বিরোধী দলনেতার অনুগামী বিধায়কদের দাবি, তাদের নিজেদের পছন্দের মণ্ডল সভাপতি প্রয়োজন, আর অন্যদিকে বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার নাকি সেই নাম বাতিল করছেন। এতেই বেঁধে গোল। শুভেন্দু ও সুকান্তর লড়াই দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। মেদিনীপুরের এক প্রাক্তন কাউন্সিলারকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ঘিরে, বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও বিরোধী দলনেতার লড়াই সাম্প্রতি চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল মেটাতে নাজেহাল পদ্ম শিবির। বিধায়কদের সাংসদ হওয়ার মরিয়া চেষ্টায় রাজনৈতিকভাবেও দুর্বল হচ্ছে বিজেপি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#BJP West Bengal, #Satish Dhonda, #West Bengal, #bjp

আরো দেখুন