বিশ্বকাপের আবহে রেফারি তোতলা ভটচাজকে কি মনে পড়ল বাঙালির?
সৌভিক রাজ
এক মাসজুড়ে বাঙালির নাওয়া-খাওয়া বলতে শুধুই ফুটবল চলবে। রেফারি-অফসাইড নিয়ে জমে উঠেছে কাতারের লড়াই, কিন্তু বাঙালির নিজের যে এক রেফারি রয়েছে, তাঁকে কি মনে পড়ছে? বিশ্বযুদ্ধে রেফারি ফুটবল বলতেই বাঙালির মনে যে সিনেমার কথা ভেসে ওঠে তা হল ধন্যি মেয়ে। হাড়ভাঙা ন্যাংটেশ্বর শিল্ড নিয়েই গোটা ছবি। অরবিন্দ মুখোপাধ্যায়ের এই ছবিতে তারকার অভাব ছিল না, হাজারও চরিত্রের মধ্যে ছিল গাঁয়ের পুরোহিত তোতলা ভটচাজ। হাড়ভাঙা গ্রামে শিল্ড ফাইনাল খেলতে এল সর্বমঙ্গলা স্পোটিং, তপন চট্টোপাধ্যায়ের ফন্দিতে ম্যাচের রেফারি কাত! এখন কী উপায়? নামানো হল রবি ঘোষকে, হ্যাঁ তিনিই তোতলা ভটচাজ।
নামাবলি ছেড়ে মুখে বাঁশি গুঁজে নেমে পড়লেন রবি ঘোষ। শর্ত একটাই হাড়ভাঙাকে জেতাতে হবে, ব্যস্ তাহলেই ঋণ মুকুব। কিন্তু মন্ত্র আওড়ানো আর শান্তির জল ছিটানো লোকটি কি করে রেফারি হবেন? চট করে কায়দা শিখিয়ে দিলেন জহর রায় অর্থাৎ হাড়ভাঙার প্রেসিডেন্ট। বাঁশি বাজাতে হবে এইটুকু মাথায় ঢুকলো। মাঠে নামলেন খেলা শুরু হল, রেফারির কায়দা-কানুন দেখে অবাক সব্বাই! ওদিকে রানিং কমেন্ট্রি চলছে সুখেন দাসের। প্রথমার্ধ প্রেসিডেন্টের কথা মতোই হল, এক গোলে এগিয়ে হাড়ভাঙা। প্রেসিডেন্ট খুশ! মিষ্টির অর্ডার দিয়ে দিলেন, তোতলা ভটচাজের ঋণ মুকুব, আইনি কাজকর্ম মিটিয়ে ফেরাল নির্দেশ দেওয়া হল। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে খেলা ঘুরে গেল… বগলা ডজন খানেক গোল দিলেন। মাঠে তিড়িং-বিড়িং করে লাফিয়ে গেলেন তোতলা ভটচাজ, যা দেখে বেজায় খেপলেন প্রেসিডেন্ট। শেষমেষ খেলা ভন্ডুল হল। এক ডজন গোলের বদলা নিতে, বগার সঙ্গে প্রেসিডেন্ট নিজের বাপ-মা মরা মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিলেন। সেই বিয়ে আসরে ফের পুরুতের ভূমিকা