আরও একবার এমবাপে ম্যাজিক! তাঁরই দেওয়া দুটি গোলে ফ্রান্স হারাল ডেনমার্ককে
সারা রাত জ্বলেছে নিবিড়, ধূসর নীলাভ এক তারা, তারই কিছু রং নাও তুমি।
কবীর সুমনের গানটিতে কণ্ঠ মেলাতে পারেন তাঁর ভক্তরা। বিশ্বজোড়া ফুটবল রোমান্টিকদের বলতে পারেন—নীলাভ ওই তারা যেমন রং বিলিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর বুকজুড়ে, সেই রং গায়ে মেখে রঙিন আহ্লাদে ভাসছ তোমরা, তেমনি ফুটবলের বাঁকে বাঁকে আলো বিকিরণ করে যাওয়া কিলিয়ান এমবাপের আলোয়ও আরও একবার আনন্দস্নান করলাম আমরা! ফ্রান্স-ডেনমার্ক উত্তেজনাময় ম্যাচে এমবাপের দুটি গোলে জয়ী হল ফ্রান্স।
শুক্রবার দোহার স্টেডিয়াম ১৯৪৭-এ বিশ্বকাপের ‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল গতবারের চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স ও ডেনমার্ক। প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে জয় পাওয়ার পর এদিন পর পর দু’ম্যাচ জিতে গ্রুপের শীর্ষে থাকার লক্ষ্যে মাঠে নেমেছিল এমবাপেরা। অন্যদিকে তিউনিসিয়ার বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ড্র করেছিল ডেনমার্ক (Denmark)।
দু’দলই প্রথমে প্রতিপক্ষকে একটু বুঝে নিতে চাইছিল। তবে আক্রমণের ঝাঁঝ বেশি ছিল ফ্রান্সের (France)। দু’প্রান্ত ব্যবহার করে আক্রমণে যেতে থাকে তারা। অন্য দিকে ডেনমার্ক চাইছে থ্রু-বলে খেলতে।
কিলিয়ান এমবাপের গতি, উসমান দেম্বেলের কারিকুরি আর ডি-বক্সে অলিভিয়ে জিরুদের বিপজ্জনক উপস্থিতি কাঁপন ধরায় ডেনমার্কের রক্ষণে। বল পেলেই সোজা আক্রমণে যায় ফ্রান্স। তবে প্রথম ভালো সুযোগটির জন্য অপেক্ষা করতে হয় ২১তম মিনিট পর্যন্ত। অঁতোয়ান গ্রিজমানের ফ্রি কিকে আদ্রিওঁ রাবিওর হেড ঝাঁপিয়ে ঠেকান কাসপের স্মাইকেল। একের পর এক আক্রমণের ঝাপটা সামাল দিতে থাকে ডেনমার্ক। ৩৪তম মিনিটে কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে ব্যর্থ করে দেয় ফ্রান্সের দুটি চেষ্টা। জিরুদের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে আচমকা শট নেন গ্রিজমান। তবে প্রস্তুত ছিলেন স্মাইকেল। ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন চেষ্টা। একটু পরে দেম্বেলের শট ব্লক করেন ডেনমার্কের এক খেলোয়াড়।
প্রথমার্ধে গোলের গোলের জন্য ১৩ শট নেয় ফ্রান্স, তিনটি ছিল লক্ষ্যে। ডেনমার্কের দুটি শটই ছিল লক্ষ্যভ্রষ্ট।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে চাপ বাড়ানোর চেষ্টা ডেনমার্কের। বাঁ প্রান্ত ধরে উঠে বক্সে বল রাখেন এরিকসন। কিন্তু সেই বল কাজে লাগাতে পারেননি। অবশেষে ম্যাচের ৬০ মিনিটে ডেনমার্কের রক্ষণ ভাঙতে সক্ষম হয় ফ্রান্স। বাঁ দিকে থেকে এমবাপেকে পাস দেন হের্নান্দেস। পাল্টা তাঁকে পাস বাড়ান এমবাপে। গোল লাইন থেকে বক্সে বল রাখেন হের্নান্দেস। চলতি বলে ডান পায়ের শটে গোল করেন এমবাপে। ১-০ গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স।
এরপর গোল খেয়ে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়ায় ডেনমার্ক। তার ফলও মেলে। কর্নার থেকে সতীর্থের ব্যাক হেড থেকে হেডে গোল শোধ করেন ক্রিশ্চেনসন। এরপর গোল করার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে ফ্রান্স। ৮৭ মিনিটে গ্রিজমানের দেওয়া পাস থেকে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করে দলকে এগিয়ে দেন এমবাপে (Kylian Mbappé)।