ইংল্যান্ড-ওয়েলস ম্যাচের প্রাককালে দু-দেশের সমর্থকদের সতর্ক করল কাতার প্রশাসন
বাইশের বিশ্বকাপের পারদ ক্রমশ চড়ছে। মাঠের বাইরেও ছড়িয়ে পড়ছে উত্তেজনা। এবার ইংল্যান্ড-ওয়েলস ম্যাচের প্রাককালে দুই দেশের সমর্থকদের সতর্ক করল কাতার প্রশাসন। স্টেডিয়ামের বাইরে গান গাইলে, প্ররোচনামূলক পোশাক পরলে, গ্রেপ্তার করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে কাতার প্রশাসন। ফলে যেকোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সতর্ক কাতার প্রশাসন। তাই দুইদলের সমর্থকদের আগেভাগেই সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে।
c গ্রেট ব্রিটেনের দুই দেশের ম্যাচ ঘিরে ফুটছে দুদলের সমর্থকরা। ফুটবল অনুরাগীরা একে বিশ্বকাপের ডার্বি বলছেন। অন্যদিকে, ইংল্যান্ডের ফুটবল সমর্থকদের গুন্ডামির জন্যে বেশ নাম খারাপ। পিছিয়ে নেই, ওয়েলসের ফুটবল সমর্থকরাও। ইতিমধ্যেই এই দুই দলের সমর্থকেরা লন্ডনসহ একাধিক জায়গায় বচসায় জড়িয়েছেন, এমনকি তা হাতাহাতির পর্যায়তেও পৌঁছেছে।
ম্যাচের আগে বা পরে স্টেডিয়ামের বাইরে গান গাওয়া, প্ররোচনামূলক পোশাক পরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। নির্দেশ না মানলেই কারাবাস। সব জায়গাতেই পুলিশি নজরদারির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। প্রশাসনের এহেন নিদানে অবাক হয়েছেন দুই দলের সমর্থককূল। ইংল্যান্ডের এক ফুটবলপ্রেমী জানাচ্ছেন, তিনি প্রথমে ভেবেছিলেন বিশ্বকাপের আয়োজকরা মজা করছেন। পরে বুঝতে পারেন, বিষয়টা মোটেও হাসির নয়। কেউ কেউ আবার বলছেন, কাতারের পুলিশ কিছুতেই খুশি হয় না। কোথাও কোনও সমস্যা নেই। সব নাকি পুলিশের জন্যই হচ্ছে।
ইরানকে ৬-২ হারানোর আনন্দে উৎসব মেতেছিলেন ইংল্যান্ডের সমর্থকরা। সেখানেও দোহার পুলিশ গিয়ে হাজির হয়েছিল। ইংল্যান্ড সমর্থকদের বলা হয়েছিল চিৎকার চেঁচামেচি করা যাবে না। দ্বিতীয় ম্যাচে, যুদ্ধের সাজে সেজে ম্যাচ দেখতে গিয়েছিলেন ইংল্যন্ডের দুই সমর্থকের। অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা, প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করে দোহা পুলিশ। নয়া নির্দেশিকা দেখে আবারও ক্ষুব্ধ ইংল্যান্ড সমর্থকরা।