আড়াই দশকে দেশে চরমে পৌঁছবে সাইবার ক্রাইম, বলছে পুলিশ রিসার্চ রিপোর্ট
সমাজ মাধ্যমের উপর কড়া নজরদারি প্রয়োজন, ব্যুরো অব পুলিশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের তরফে এমনই রিপোর্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে পাঠানো হয়েছে।
হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটারের কারণেই দেশজুড়ে তৈরি হবে অশান্তি। দেশের বাইরে ও ভিতরে অজস্র সাইবার সেনা তৈরি হয়েছে। রিপোর্টে (police research report) আরও বলা হয়েছে সমাজ মাধ্যমকে হাতিয়ার করেই দেশব্যাপী গণহত্যা ও সংঘর্ষের চক্রান্ত সাজানো হচ্ছে। আগামী দিনে এই প্রবণতা আরও বাড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সমাজ মাধ্যমের কারণে দেশের শত্রুদের এখন আর ময়দানে নেমে প্ররোচনা ছড়ানো বা গোপন ডেরায় বসে হিংসা ছড়াতে হচ্ছে না। ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়াগুলিই অনেক সহজে এসব করে দিচ্ছে। আগামী ২৫ বছরে সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে দেশে এই প্রবণতা আরও বাড়বে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনস্থ ব্যুরো অব পুলিশ রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অপরাধের গতিপ্রকৃতি, পুলিশের আধুনিকীকরণ, অপরাধ পদ্ধতি ও তদন্তের প্রক্রিয়া বদলে যাওয়া, অপরাধের প্রক্রিয়ার মতো বিভিন্ন বিষয়ে সরকারকে রিপোর্ট জমা দেয়। আগামী ২৫ বছর ভারতে অপরাধের গতিপ্রকৃতি কেমন হবে সেই বিষয়গুলি রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে। এবার ওই খসড়া রিপোর্ট থেকে কেন্দ্রীয় ইনটেলিজেন্স এজেন্সি এবং রাজ্য পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে চুড়ান্ত রিপোর্ট তৈরি করবে কেন্দ্র।
খসড়া রিপোর্ট অনুযায়ী, আগামী ২৫ বছরে ভারতে সাইবার ক্রাইম (Cyber crime), ড্রোন অ্যাটাক, ডেটা প্রোটেকশন ভঙ্গ ও সাম্প্রদায়িক হানাহানি সবচেয়ে বেশি হবে। সমাজ মাধ্যমের কারণে সবচেয়ে বেশি অপরাধ সংগঠিত হবে। দেশের কোনও একটি প্রান্তে হওয়া ঘটনাকে ব্যবহার করে সমাজ মাধ্যমের দৌলতে প্ররোচনা ও উস্কানিমূলক প্রচার শুরু হয়। একই কায়দায় বারবার অশান্তি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়ে। সহজেই হিংস ছড়িয়ে দেওয়ার কাজে সাফল্য পাওয়ার পরে, পুরোদস্তুর এই কাজে মাঠে নেমেছে সাইবার সেনা। পরিকল্পিতভাবে দেশের বাইরে ও ভিতরে তা ব্যবহার করা হচ্ছে। অনলাইন এবং ব্যাঙ্কিং প্রতারণার ঘটনা নিত্যদিন হচ্ছে। আগামীতে এর পরিমাণ আরও বাড়তে বলেই মত। প্রযুক্তিনির্ভর অপরাধের মোকাবিলা করতে রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সির মধ্যে সমন্বয় রেখে নতুন একটি মনিটরিং মেকানিজম তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।