রাহুলের ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি না মেনে খাড়গেই রাজ্যসভার বিরোধী নেতা?
ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে অভ্যন্তরে ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ নীতি মেনে চলা হবে কঠোরভাবে, গত মে মাসে উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল হাইকমান্ড। রাহুল গান্ধী তখন এই সিদ্ধান্তকে প্রবল সমর্থন করেছিলেন। সূত্রের খবর, সেই নীতি ভেঙে রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতার পদে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকেই রেখে দিচ্ছে কংগ্রেস। যদি তাই হয়, তাহলে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনেও খাড়গেই রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পালন করবেন। স্বভাবতই এই নিয়ে দলের অন্দরে জোর বিতর্কও শুরু হয়ে গিয়েছে।
কংগ্রেস সূত্রে জানতে পারা যাচ্ছে, এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য শনিবার প্রাক্তন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী বৈঠক ডেকেছেন। দলের সংসদীয় কৌশল নির্ধারণ সংক্রান্ত কমিটির বৈঠকে থাকবেন খাড়গে ছাড়াও জয়রাম রমেশ, কে সি বেণুগোপাল প্রমুখ। তবে ওই বৈঠকে ডাক পাননি পি চিদম্বরম, দিগ্বিজয় সিংয়ের মতো প্রবীণ নেতারা।
রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা পদে মল্লিকার্জুন খাড়গেকেই রেখে দেওয়ার খবর সামনে আসতেই তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে কংগ্রেসের অন্দরে। প্রশ্ন উঠেছে, খাড়গের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম কেন হবে? এর আগে হাইকম্যান্ড রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী গেহলতকে কংগ্রেস সভাপতি মকরা হয়নি কারণ দল তাঁকে দুই পদে রাখতে রাজি হয়নি।
এক পদ এক নীতি না মানার আরও নজির যে কংগ্রেসে নেই এমনও নয়। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী একইসঙ্গে লোকসভার বিরোধী দলনেতা। জয়রাম রমেশ একাধারে দলের জনসংযোগ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব সামলে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের চিফ হুইপ। সুতরাং একমাত্র গেহলতই কী একমাত্র ব্যতিক্রম, প্রশ্ন উঠছে।