কাতারের মহারণে কালো মুখোশে মুখ ঢেকে নামছেন ফুটবলাররা, কেন জানেন?
কাতারের কাপ যুদ্ধে ফুটবলের মাঠে সুপারম্যান, ব্যাটম্যানদের মতো মুখোশ পরে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন খেলোয়াড়রা। দক্ষিণ কোরিয়ার সন হিউং-মিন (Son Heung-min) থেকে ক্রোয়েশিয়ার ইয়োসকো গাওয়ারদিওলের (Joško Gvardiol) মতো ফুটবলাররা মুখাবরণ পরে নামছেন মাঠে। বিশেষ প্রোটেক্টিভ এই কালো মাস্ক কি নিছক স্টাইল না কি এর নেপথ্যে রয়েছে অন্য কোনও কারণ?
দক্ষিণ কোরিয়ার অধিনায়ক তথা টটেনহ্যামের তারকা ফরোয়ার্ড সন হিউং, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক ম্যাচ খেলাকালীন চোখে ভয়ংকর চোট পেয়ে, ফিজিয়োদের কাঁধে চেপে মাঠ ছেড়েছিলেন। আই সকেটে চিড় ধরায় তাঁকে অস্ত্রোপচার করাতে হয়েছিল। তাই বিশ্বকাপে তিনি রক্ষাকবচ পরেই মাঠে নামছেন। দাপিয়ে ছুটছেন মাঠে। তাঁর কথায় মাস্ক খুবই আরামদায়ক।
এছাড়াও ক্রোট ডিফেন্ডার গাওয়ারদিওলা থেকে শুরু করে টিউনিশিয়ার মিডফিল্ডার এলিয়েস স্কিরি (Ellyes Skhiri) ও ইরানের গোলকিপার আলিরেজা বেরানভান্ডও এই মাস্ক ব্যবহার করছেন। বিশ্বকাপের আগে যে সব ফুটবলাররা মাথা, চোখ, মুখ এবং নাকে চোট পেয়েছেন, তারাই বাড়তি সুরক্ষার পন্থা নিয়ে মাস্ক পরে কাতারে নেমেছেন। সাফ কথায় ঝুঁকি নিতে চান না কেউই।
জার্মানির আরবি লেপজিগের হয়ে খেলার সময় গাওয়ারদিওলা মাথায় আঘাত পান, নাক এবং চোখে সমস্যা দেখা দেয়। সে কারণেই কালো মাস্ককে বেছে নিয়েছেন তিনি। ক্লাব ফুটবল খেলার সময় এলিয়েস স্কিরিওর চিকবোন ভেঙেছিল। তাই মাস্কের সাহায্য তাঁকেও নিতে হয়েছে। আবার ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে মাথায় চোট পাওয়া ইরানের গোলকিপার আলিরেজাও মাস্ক পরেই কাতারে প্র্যাকটিস করেছেন। যদিও ম্যাচে তিনি মুখোশ ছাড়াই নেমেছেন। ফুটবলে মাস্কের ব্যবহার নতুন কিছু নয়। কেবল বিশ্বকাপে নয়, বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন লিগে বহু ফুটবলার মাস্ক পারে মাঠে নামেন।