অশ্বমেধের ঘোড়া ছোটাচ্ছেন এমবাপেরা, কাতারে কাপযুদ্ধে শেষ আটে ফ্রান্স
শেষ আটের টিকিট নিশ্চিত করতে মুখোমুখি ফ্রান্স, পোল্যান্ড। প্রথমার্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়লো দুই দলই, দ্বিতীয়ার্ধে চলল ফ্রান্সের দাপট। খেলার সর্বশেষ স্কোর লাইন হয় ৩-১। এমবাপের জোড়া গোলে জয় তুলে নিয়ে কাতারের কাপ যুদ্ধে কোয়াটার ফাইনালে পৌঁছে গেল ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়েন ফ্রান্স। রাউন্ড অফ সিক্সটিনে দৌড় থামল পোল্যান্ডের।
এদিন প্রথম থেকেই আক্রমণে উঠে আসার চেষ্টা লেওয়ানডস্কিরা। আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে অতি রক্ষণাত্মক খেলে সমালোচনার মুখে পড়েছিল পোল্যান্ড। তাই আজ প্রথম থেকেই এমবাপেদের রক্ষণে চাপ সৃষ্টি করতে মরিয়া তারা। ম্যাচের শুরু থেকে পোলিশ রক্ষণ দফায় দফায় আক্রমণের ঢেউ তুলতে থাকে এমবাপে-ডেম্বেলে জুটি। শুয়ামেনির বল দুরন্তভাবে ঠেকিয়ে দেন পোল্যান্ডের গোলরক্ষক সেজনি। খেলার ১৮ মিনিটে ডেম্বেলের গ্রউন্ডার শট রুখে দেন পোল্যান্ডের গোলরক্ষক। ম্যাচের ২০ মিনিট লেওয়ানডস্কির জোরালো শট গোলপোস্টের পাশ দিয়ে পেরিয়ে যায়। ম্যাচের ২৮ মিনিটে গ্রিজম্যানের বাড়ানো বলে ডেম্বেলের সেন্টার থেকে গোলের সুযোগ তৈরি হলেও গোলের সুযোগ নষ্ট করলেন জিরুর। বারবার আক্রমণ হলেও বল জালে জড়াচ্ছে না। ম্যাচের ৩৮ মিনিটে পোল্যান্ডের সামনে চলে আসে গোল করার সুবর্ণ সুযোগ। কিন্তু জিয়েলিন্সকির শট রুখে দেন হুগো লরিস।
ম্যাচের ৪৪ মিনিটে পোলিশ রক্ষণে অবেশেষে ফাটল ধরালো জিদানের দেশের ছেলেরা। এমবাপের পাস থেকে বাঁ পায়ের স্পর্শে বল জালে জড়িয়ে দিয়ে ফ্রান্সের হয়ে নিজের ৫২তম গোলটি করে ফেললেন জিরুর। ১-০ এগিয়ে যায় ফ্রান্স। দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই গোল শোধ করার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে ওঠে পোল্যান্ড। ম্যাচের ৭৪ মিনিটে পোল্যান্ডের গোলে আবারও বল জড়িয়ে দেয় ফ্রান্স। গোলটি এসেছে এমবাপের পা থেকে। ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়ের খেলায় ৯০+১ মিনিটে আরও একটি গোল করেন এমবাপে। এই নিয়ে চলতি বিশ্বকাপে পঞ্চম গোলটি করে ফেললেন এমবাপে। ফ্রান্স এগিয়ে যায় ৩-০-এ। খেলার শেষ লগ্নে ৯০+৯ মিনিটে পেনাল্টি থেকে একটি গোল শোধ করে পোল্যান্ড। গোলটি করেন লেওয়ানডস্কি। অবশেষে ৩-১ গোলে পোল্যান্ড বধ করে শেষ আটে পৌঁছল ফ্রান্স। বিশ্বকাপের মিথ ভেঙে এগোচ্ছে ফ্রান্স।