অনন্য হয়ে থাকল কাতার বিশ্বকাপ, কেন জানেন?
কাতার বিশ্বকাপ যেন এশিয়ার স্বপ্নউড়ানের রূপকথা। হাজারও বিতর্ক পেরিয়ে ইতিমধ্যেই কাতার বিশ্বকাপে নতুন নজির গড়ে ফেলেছে। এই প্রথম বারের জন্যে বিশ্বকাপের নক আউটে পৌঁছেছে ফিফার সব মহাদেশের দল। যা আগে কখনওই হয়নি। ফিফার গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্ট কর্মসূচির প্রধান তথা আর্সেলানের প্রাক্তন কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার এই ঘটনাকে বিশ্ব ফুটবলের সাম্য বলে বর্ণনা করেছেন।
বিশ্বকাপের নক আউট পর্যায়ে সব মহাদেশের উপস্থিতিকে ফিফার সাফল্য বলছেন ওয়েঙ্গার। ২০১৪-এর বিশ্বকাপের পর এবার ফের আফ্রিকার দুই দেশ সেনেগাল এবং মরক্কো শেষ ষোলোয় উঠেছে। এছাড়াও এশিয়া থেকে জায়গায় করে নিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, অস্ট্রেলিয়া। ইরান, সৌদি আরব নজর কেড়েছে গ্ৰুপ পর্বের খেলায়। বিশ্বকাপের নকআউট পর্বে ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, লাতিন আমেরিকা, এশিয়া, ফিফার সব মহাদেশের প্রতিনিধিরাই জায়গা করে নিয়েছে।
সেই সঙ্গে বেড়েছে প্রযুক্তির ব্যবহারও। ফুটবল নিয়ে ফুটবলপ্রেমীদের আগ্রহও বেড়েছে। প্রথম ৪৮টি ম্যাচ ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার দর্শক দেখেছেন। ১৯৯৪-এর বিশ্বকাপের পর এই দর্শক সংখ্যা সর্বোচ্চ। সব মিলিয়ে কাতার বিশ্বকাপ এখনও পর্যন্ত লেটার মার্ক্স নিয়েই পাশ করেছে।