খেলা বিভাগে ফিরে যান

আজ দ: কোরিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে নেইমার! আশায় বুক বাধছেন ব্রাজিলের সমর্থকরা

December 5, 2022 | 2 min read

কাতার বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্যায়ের খেলার সময় থেকেই চোট-আঘাত সঙ্গী ব্রাজিলের (Brazil)। সার্বিয়ার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে চোট পেয়েছিলেন নেইমার, দানিলো। এরপর সুইজারল্যান্ড ম্যাচে নিতম্বে চোট পান আলেক্স সান্দ্রো। ক্যামেরুনের বিপক্ষে গ্রুপপর্বে ১-০ গোল হারা ম্যাচে বড় ধাক্কা হয়ে আসে গাব্রিয়েল জেসুস ও আলেক্স তেলেসের চোট।

গ্রুপে তিন ম্যাচ শেষ করতেই চোটের কবলে পাঁচ জন! এরমধ্যে জেসুস ও তেলেসের বিশ্বকাপই শেষ! এরই মধ্যে সোমবার নকাউট পর্বে মুখোমুখি হতে চলেছে দক্ষিণ কোরিয়ার।

আল আরাবি স্পোর্টস কমপ্লেক্সে কোচ তিতে যথারীতি সবার আগে এসে মাঠ পর্যবেক্ষণ করে গেছেন। অন্যরা মাঠে নামলেও নেইমার তখনও নামেননি। তখনই আবার চারদিকে কানাঘুষা শুরু হয়ে যায়! নেইমার (Neymar) কি তাহলে অনুশীলনে থাকছেন না! কিন্তু সব জল্পনায় জল ঢেলে দিয়ে নেইমার ঠিকই দক্ষিণ কোরিয়া ম্যাচের আগে অনুশীলনে ঘাম ঝরালেন। একটু দেরিতে হলে অনুশীলনে সাবলীল মনে হয়েছে ৩০ বছর বয়সী তারকাকে। সতীর্থদের সঙ্গে বল নিয়ে দৌড়-ঝাঁপ করলেন। লক্ষ্যভেদ করারও দিকে মনোযোগ ছিল তার।

যা বোঝা গেছে তাতে করে দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) বিপক্ষে মাঠে নামতে কোনও দ্বিধা নেই। সুস্থ হয়েই অনুশীলনে মনোযোগ দিয়েছেন। তবে কোচ তিতে ঠিক করবেন নেইমার শুরু থেকে খেলবেন নাকি বদলি হয়ে।

এ কদিন শুরুর পনের মিনিটে দুই প্রান্তে ‍দুটি পোস্ট সাজিয়ে অনুশীলন সেরেছেন, এবার সারলেন চারটি দিয়ে। এর মধ্যে মাঠ ছোট করে এনে বসানো দুটি পোস্ট, যাতে পাসিং, শুটিংয়ের অনুশীলন হয় আরও নিখুঁত।

শুটিংয়ে রিশার্লিসন, গাব্রিয়েল মার্তিনেল্লিদের কারো শট ঠিকানা খুঁজে পায়। কারো শট ফিরে আসে পোস্ট কাঁপিয়ে। কারোটা উড়ে যায় বাইরে। তবে আক্রমণভাগ নিয়ে অবশ্য কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে তিতের। সার্বিয়া ম্যাচে পাওয়া চোট কাটিয়ে ফিরেছেন নেইমার। কিন্তু রক্ষণ নিয়ে যে খচখচানি পুরোপুরি কাটছে না তিতের।

নেইমার দলে থাকা মানেই বাড়তি আত্মবিশ্বাস। গ্রুপ পর্বের বাকি দুই ম্যাচ নেইমারকে ছাড়া হলুদ জার্সিধারীদের মধ্যে মলিনতার ছোঁয়া ছিল। যদিও এর একটি ম্যাচে ব্রাজিল জিতেছিল। অন্যটিতে তো রিজার্ভ বেঞ্চের সামর্থ্য দেখতে গিয়ে ক্যামেরুনের কাছে হেরেই বসে তিতের দল।

আজ ব্রাজিল সমর্থকরা আশাতে আছেন, নেইমার ড্রিবলিং করে বক্সে ঢুকে লক্ষ্যে শট নিন কিংবা সতীর্থকে ফাইনাল পাসটা ঠিকঠাক দিয়ে গোল করান।

অন্যদিকে বিশ্বকাপে এশিয়ার সর্বোচ্চ সাফল্য চতুর্থ হওয়া। ২০০২ বিশ্বকাপে সেই কীর্তি গড়ে বিশ্বকাপের সহ–আয়োজক দক্ষিণ কোরিয়া। আজ দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪-এ সেই কোরিয়ার পরীক্ষাটাই বড়। সামনে যে নেইমারের ব্রাজিল। হিউং-মিন সনের দক্ষিণ কোরিয়ার সামনে ইতিহাস বদলে দেওয়ার হাতছানি। ইতিহাসটা বিশ্বকাপে এশীয় দলের বিপক্ষে ব্রাজিলের রেকর্ড। এশীয় কোনো দলের বিপক্ষে ব্রাজিলিয়ানরা যে কখনোই হারেনি। তবে ব্রাজিলের এমন অজেয় রেকর্ড তো আফ্রিকার দলের বিপক্ষেও ছিল। কাতার বিশ্বকাপে এসেই তো সেই ঈর্ষণীয় রেকর্ড খুইয়েছে তিতের দল।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Brazil, #Neymar, #South Korea, #Brazil vs South Korea

আরো দেখুন