এশিয়ান ব্লু সামুরাইদের সমীহ করছে ক্রোয়াটরা
কাতারে এশিয়ান ফুটবলের নতুন সূর্যের উদয় ঘটিয়ে এখন কোয়ার্টার ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ক্রোয়েশিয়াকে চোখরাঙানি দিচ্ছে জাপান।
প্রথম ম্য়াচে জার্মানির মতো দলের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়ে জয়। তৃতীয় ম্যাচে শক্তিশালী স্পেনকেও একই ভঙ্গিতে হারিয়েছে তারা। জাপানের জয়ে বিশ্বকাপ থেকেই ছিঁটকে গিয়েছে জার্মানি। টানা দ্বিতীয় বার গ্রুপ পর্বেই বিদায় নিতে হয়েছে চার বারের চ্যাম্পিয়ন জার্মানিকে। তেমনই শক্তিশালী স্পেনকে হারিয়ে নকআউট নিশ্চিত করা। একেবারে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই শেষ ষোলোয় নাম লিখিয়েছে সামুরাই ব্লুরা।
এশিয়ার অন্যতম শক্তি আল জানুব স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোয় আজ খেলতে নামছে গত বিশ্বকাপের রানার্স আপ ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে। কাগজে–কলমে ক্রোয়েশিয়াকে এগিয়ে রাখা হলেও বাস্তবতা এই জায়গাতেও ভিন্ন। দুই দল এখন পর্যন্ত মুখোমুখি হয়েছে তিনবার। একটি করে জয়, হার আর ড্র নিয়ে বিরাজ করছে সাম্যবস্থা। আবার অন্যভাবে চিন্তা করলে, মহানাটকীয় এই বিশ্বকাপে একের পর এক চমক দেখানোয় সূক্ষ্মতম ব্যবধানে এগিয়ে আছে জাপান। নিয়মানুবর্তিতার আলোকবর্তিকা ছড়িয়ে দেওয়া দলটি বীরের বেশে শেষ ষোলোয় উঠলেও ক্রোয়াটদের অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে, খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে আসতে হয়েছে।
বিশ্বকাপে জাপানের কাছে কখনো হারেনি ক্রোয়েশিয়া। ১৯৯৮ আসরে নিজেদের ইতিহাসের সর্বোচ্চ গোলদাতা ডেভর সুকারের গোলে পূর্ণ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছেড়েছিল ক্রোয়াটরা। আর আট বছর পরের ম্যাচটি শেষ হয়েছে গোল শূণ্যভাবে। দুটিই ছিল গ্রুপ পর্বের ম্যাচ।
জাপান কোচ হাজিমে মরিইয়াসু অবশ্য ম্যাচের আগে স্রোতে গা ভাসাচ্ছেন না। দলের সবাইকে শান্ত থেকে ক্রোয়াট–চ্যালেঞ্জ নেওয়ার প্রত্যয় তাঁর কণ্ঠে, ‘এক বা দুই শতাংশ সুযোগ সৃষ্টি হলেও সেটা লুফে নেব। এবার ড্র হলে ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে এমনকি টাইব্রেকারে গড়াবে। সবকিছুর জন্যই আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।’
অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার কোচ লাতকো দালিচ আজকের ম্যাচ নিয়ে যথেষ্ট সাবধানী। তিনি বলেছে, ‘(গ্রুপ পর্বের ম্যাচে) স্পেন প্রথম গোল করার পর ভেবেছিলাম জাপান শেষ। কিন্তু ওরা হাল ছাড়েনি। জার্মানি, বেলজিয়াম, ডেনমার্কের ছিটকে যাওয়া প্রমাণ করে, প্রতিটি দলই শক্তিশালী।’