ইতিহাস গড়ে টাইব্রেকারে স্প্যানিশ আর্মাডা ডুবিয়ে শেষ আটে অ্যাটলাস লায়ন্সরা
রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ। স্প্যানিশ আর্মাডার ত্রমাগত আক্রমণ, মরক্কোর মরণপণ রক্ষণে জমজমাট হয়ে ওঠে এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে শেষ ষোলোর কাপ যুদ্ধ। পরিশেষে ট্রাইব্রেকারে ৩-০ গোলে স্প্যানিশ আর্মাডাদের পরাস্ত করল অ্যাটলাস লায়ন্সরা।
প্রথমদিকে মরক্কোর রক্ষণাত্মক খেলা খেললেও গোল করতে ব্যর্থ হল তারা। স্পেনও গোলের সুযোগ পেয়েছিল। গাবির শট পোস্ট ছুঁয়ে যায়। তবে সহকারী রেফারি তখন অফসাইডের সঙ্কেত দেন। গোলের সুযোগ হাতছাড়া হয়েছিল মার্কো অ্যাসেন্সিরও। বিরতির ঠিক আগে মাজরাউইর জোরালো শট বাঁচিয়ে দেন স্পেনের শক্তিশালী গোলরক্ষক উনাই সিমন। প্রথমার্ধে ম্যাচের ফলাফল ০-০।
ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে ৫৫ মিনিটে স্পেনের খেলায় তেমন গতি ছিল না। হাকিমি গাবিকে ফাউল করেন। ফ্রি কিক থেকে ড্যানি ওলমোর শট মারলেও গোল করতে ব্যর্থ হন। ৬৩ মিনিটে পেরিয়ে গেলেও গোল করতে পারেনি স্পেন-মরক্কো। ৮০ মিনিটে রেগরাগুইয়ের দলের শক্তিশালী রক্ষণ ও পরিকল্পনামাফিক খেলা আটকে দেয় স্পেন। নিকো উইলিয়ামসের পাস থেকে মোরাতার শট কিন্তু পরিশেষে শুন্য ফলাফল।
৮৬ মিনিটে মরক্কো সুযোগ পায়। ডান দিক থেকে হাকিম জিয়াশ বক্সে পাশ দিলেও ওয়ালিদ ছেদদিরার দুর্বল শটে গোল হয় নি। গোলশূন্যভাবেই শেষ হল ৯০ মিনিটের খেলা। কোনও দলই এই সময়ে গোলের মুখ খুলতে পারেনি। অতিরিক্ত সময়ের প্রথমার্ধেও অধরা গোল। একশ মিনিটের খেলা শেষ। তখনও ‘ডেডলক’ ভাঙতে পারল না কেউই।
অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে কোনও দল গোল করতে না পারায় শেষপর্যন্ত টাইব্রেকারে পৌঁছাল স্প্যানিশ আর্মাডা-মরক্কোর লড়াই। ১২০ মিনিটের যুদ্ধে ট্রাইব্রেকারে স্পেনকে ৩-০ গোল দিল অ্যাটলাস লায়ন্সরা। টাইব্রেকারে মরক্কোর হয়ে গোল করলেন আবদেলহামিদ সাবিরি, হাকিম জিয়েচ ও আশরফ হাকিমি। ইতিহাস গড়ে এই প্রথমবার বিশ্বকাপের কোয়াটারফাইনালে উঠল মরক্কো।