জানেন নরেন্দ্র মোদীর বিদেশ সফরে কত খরচ হয়েছে? জানলে চক্ষু চড়কগাছ হতে বাধ্য
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন মোদী (PM Narendra Modi)। তারপর থেকে ঘনঘন তাঁকে বিশেষ বিমানে চড়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেতে দেখা গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে প্রায় সমার্থক হয়ে গিয়েছে বিদেশ সফর। এই প্রসঙ্গে একাধিকবার বিরোধীদের আক্রমণের মুখেও পড়তে হয়েছে প্রধানমন্ত্রীকে।
কোভিডের কারণে মাঝে ১৫ মাস বন্ধ ছিল সফর। তা বাদ দিলে গত পাঁচ বছরে বিদেশ ভ্রমণে ২৩৯ কোটিরও বেশি টাকা খরচ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সংসদে লিখিতভাবে এই তথ্য জানাল কেন্দ্র। হিসেব বলছে, চলতি অর্থবর্ষে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যবাজেটে বরাদ্দ বৃদ্ধির অঙ্কও এই ব্যয়ের থেকে কম।
সরকারি কোষাগারের এই ভ্রমণব্যয়ের বহর দেখে সাধারণ মানুষের চক্ষু চড়কগাছ হতে বাধ্য। বিশ্ব ক্ষুধা তালিকায় ১০২ নম্বর স্থানে থাকা দেশে প্রধানমন্ত্রীর ঘনঘন বিদেশ ভ্রমণের জন্য আম আদমির করের এত টাকা খরচ নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। তাছাড়া এত সফর, বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেও লাদাখ সীমান্তে চীনের আগ্রাসন বন্ধ হয়নি। কাশ্মীরেও সমানে সন্ত্রাসবাদে মদত দিয়ে চলছে পাকিস্তান। কেন? প্রশ্ন তুলতে ছাড়ছে না বিরোধীরা।
সংসদে চলতি শীতকালীন অধিবেশনে এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেছিলেন সিপিএমের রাজ্যসভার এমপি এলামারাম করিম। জানতে চান, গত পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ ভ্রমণে কত খরচ হয়েছে? সেই মতোই বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ২০১৭ থেকে এখনও পর্যন্ত ৩৬বার বিদেশ সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। গিয়েছেন ফিলিপিন্স, চীন, রাশিয়া থেকে ব্রাজিল, আমেরিকা, জার্মানির মতো দেশে। আর এই যাত্রায় মোট খরচ হয়েছে ২৩৯ কোটি ৪ লক্ষ ৮ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা।
সংসদে দেওয়া সরকারের লিখিত তথ্য বলছে, ২০১৮ সালে নরেন্দ্র মোদি বিদেশ গিয়েছেন ১৪বার। ভ্রমণ করেছেন সুইৎজারল্যান্ড, সুইডেন, জার্মানি, চীন, উগান্ডা, জাপান, আর্জেন্তিনা, কোরিয়ার মতো একগুচ্ছ দেশ। ২০১৯’এ ১১বার বিদেশ সফর। ২০২০ সালে লকডাউনের কারণে দেশের বাইরে কোথাও যাননি প্রধানমন্ত্রী। ফের তা শুরু হয় ২০২১ সালের মার্চে। বাংলাদেশ সফর দিয়ে শুরু হয়ে গত বছর মাত্র তিনবার বিদেশ সফর। আর চলতি ২০২২ সালে এখনও পর্যন্ত সাতবার দেশের বাইরে গিয়েছেন নরেন্দ্র মোদি। সপার্ষদ। প্রায় প্রতিটি সফরেই সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। এছাড়া কোনও কোনও সফরে ছিলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের মতো হাতে গোনা কয়েকজন মন্ত্রী।
যদিও সরকারের তরফ থেকে জানানো হল, এই সফরগুলির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের অবস্থানের উন্নতি হয়েছে! অন্যান্য দেশগুলির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে পেরেছে ভারত!