মেসির সবচেয়ে বড় শত্রু নব্বইয়ের মারাদোনা?
নীল-সাদা জার্সি দুনিয়াকে ফুটবলের রাজপুত্র মারাদোনাকে (Diego Maradona) উপহার দিয়েছিল। ১৯৯০-এর বিশ্বকাপের সেমি-ফাইনালে ইতালির বিরুদ্ধে নামার আগে নাপোলির হার্টথ্রব দিয়েগো আর্মান্দো সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ডাক দিয়েছিলেন, দেশকে ভুলে তাকে সমর্থন করার। বলেছিলেন, নেপলস তাঁর সেকেন্ড হোম। সেখানকার প্রত্যেকেই তাঁর আত্মার আত্মীয়। তুঙ্গে উঠেছিল বিতর্ক। নেপলসের ফুটবলপ্রেমীরা ব্যঙ্গ ছুঁড়ে দিয়েছিলেন। সেই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে টাই-ব্রেকারে জিতে ফাইনালে পৌঁছেছিল আর্জেন্তিনা (Argentina)।
১৯৯০-এর আর্জেন্টিনার সঙ্গে চলতি বিশ্বকাপের আর্জেন্টিনার অনেক কিছুই মিল রয়েছে। নব্বইয়ের মতো ম্যাচে ওমাম বিইকের গোলে প্রথম ম্যাচে ক্যামেরুনের কাছে হেরে গিয়েছিল আর্জেটিনা। এবারও সৌদি আরবের কাছে হেরে বিশ্বকাপ শুরু করেছে মেসিরা। কিন্তু মারাদোনার মতো মেসিকে আর সমর্থন চাইতে হচ্ছে না। গোটা বিশ্ব মেসিকেই চাইছেন। দোহার রাজপথই তার প্রমাণ দিচ্ছে। ১৮ ডিসেম্বর লুসেইলে নামুন মেসি, এটাই প্রার্থনা সকলের।
সবুজ ময়দানে মেসির (Lionel Messi) ম্যাজিক দেখতে উদগ্রীব গোটা দুনিয়া। আজ রক্ষণে আগলে ম্যাচকে টাই-ব্রেকার অবধি গড়িয়ে নিয়ে যেতে চাইবে ক্রোটরা। কিন্তু স্কালোনি চাইবেন ৯০ মিনিটেই জয় ছিনিয়ে নিক মেসিরা। লিও-ই এখন আশা ভরসা। অস্ট্রেলিয়া ও নেদারল্যান্ডসের চেয়ে ক্রোয়েশিয়া অনেক বেশি সংগঠিত। কার্ড সমস্যার কারণে, দুই সাইড ব্যাক মন্টিয়েল ও আকুনা থাকবেন না। ফলে স্কালোনির ভরসা এখন টাগলিয়াফিকো ও মোলিনা। রডরিগো ডি পল ও ডি মারিয়া ম্যাচ ফিট হয়ে উঠেছেন।
অন্যদিকে ক্রোয়েশিয়ার কিংবদন্তি লুকা মডরিচকে, আজ লুসেইলে জীবনের সেরা পারফরম্যান্স দিতে পারবেন লুকা? বলবে সময়। কোচ ডালিচের লক্ষ্য হবে এরিয়াল বলে গোল তুলে নেওয়া। কারণ, তাঁর দলের ছেলেদের গড় উচ্চতা বেশি। ব্রাজিলের পর লিওদের আটকে দিতে পারলেই ইউরোপিয়ান ফুটবলের নায়ক হয়ে উঠবে ক্রোয়েশিয়ার ছেলেরা। ম্যাচ টাই-ব্রেকারে অবধি গড়ালে নায়ক হয়ে উঠতে পারেন এমিলিয়ানো ও লিভাকোভিচ। দুই গোলরক্ষকই নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দিচ্ছেন। দুজনেই জীবনের সেরা টুর্নামেন্ট খেলে ফেলছেন।