মেসি’র বিরুদ্ধে এমবাপের রেকর্ডের কথা জানলে মন খারাপ হয়ে যেতে পারে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের!
রবিবার বিশ্বকাপের ফাইনাল জিতলে নতুন কীর্তি গড়বে ফ্রান্স। ৬০ বছর পর কোনও দেশ পরপর দু’বার বিশ্বকাপ জিতবে। ১৯৫৮ ও ১৯৬২ সালে ব্যাক-টু ব্যাক শিরোপা জয়ের কীর্তিটা ছিল ব্রাজিলের। কিন্তু ফ্রান্স জাতে তাদের কাজটা এতটাও সহজ নয়। কারণ, তাদের মুখোমুখি হতে হবে লিওনেল মেসি’র আর্জেন্টিনার।
ফ্রান্স ও আর্জেন্টিনা—দুই দলই দুবার করে বিশ্বকাপ জিতেছে। এ কারণে মেসি ও এমবাপের জাতীয় দলের জার্সিতে দুটি করে তারা রয়েছে। কার জার্সিতে তৃতীয় তারকাটি যোগ হবে? লিওনেল মেসি না কিলিয়ান এমবাপে? রোববার বিশ্বকাপের ফাইনালেই তা নিশ্চিত হবে।
বিশ্বকাপ ফাইনালে আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্সের মধ্যে হলেও আসল লড়াই কিন্তু হবে মেসি ও এমবাপের মধ্যে। এই দু’জনের উপরই নির্ভর করবে বিশ্বকাপ এবার কোন দেশে যাবে।
মেসি এবং এমবাপের মুখোমুখি হওয়ার ইতিহাস দেখলে আর্জেন্টিনার সমর্থকদের একটু মন খারাপ হতে পারে।
এমবাপে এর আগে একবারই বিশ্বকাপে মুখোমুখি হয়েছেন মেসির। গত রাশিয়া বিশ্বকাপের শেষ ষোলোয় ফ্রান্স মুখোমুখি হয়েছিল আর্জেন্টিনার। ৪-৩ গোলে সেই ম্যাচ জিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছিল ফ্রান্স। জোড়া গোল করেছিলেন এমবাপে। মেসি গোল পাননি। তবে দুটি গোল করিয়েছিলেন।
ক্লাব ফুটবলে দুবার মুখোমুখি হয়েছেন মেসি এবং এমবাপে। ২০২০-২১ চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ষোলোয়। মেসি তখনো বার্সেলোনার খেলোয়াড়। ক্যাম্প ন্যুতে প্রথম লেগে পিএসজির ৪-১ গোলের জয়ে হ্যাটট্রিক করেছিলেন এমবাপে। পেনাল্টি থেকে একটি গোল করেছিলেন মেসি। পিএসজির মাঠে ফিরতি লেগ ১-১ গোলে ড্র করেছিল বার্সেলোনা। এই ম্যাচেও দুই দলের দুই গোলদাতা মেসি ও এমবাপে। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ গোলের জয়ে এমবাপের পিএসজিই উঠেছিল কোয়ার্টার ফাইনালে।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেই হারের পাঁচ মাস পরই বার্সা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেন মেসি। গত মরসুমে থেকে এ পর্যন্ত একসঙ্গে মাঠে নেমেছেন পিএসজি’র দুই তারকা মেসি এবং এমবাপে।