২৩ ডিসেম্বর সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে ইতি টানতে পারে মোদী সরকার?
মোদী আমলে সংসদের অন্দরে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করার অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই উঠছে। চলতি শীতকালীন অধিবেশনেও (Winter session) একই ছবি, এবারেও জনস্বার্থে আলোচনার দাবিকে আমল দিচ্ছে না মোদী সরকার। লাগাতার বিরোধীদের কণ্ঠরোধ চলছে। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার এই অভিযোগে তৃণমূল, শিবসেনা, আপ, সিপিএম, সিপিআই কংগ্রেসসহ সব বিরোধী দলই সংসদে সরব হল। অরুণাচল প্রদেশের চীনের আগ্রাসন প্রসঙ্গে সংসদে আলোচনা ও শ্বেতপত্র প্রকাশ করার দাবিতে সোচ্চার হল বিরোধীরা। বিরোধী শিবিরের ছ’জন সাংসদ আলাদা আলাদা করে রাজ্যসভায় নোটিশ দিয়ে চীনের আগ্রাসন নিয়ে আলোচনার দাবি জানিয়েছে। যদিও আলোচনার অনুমতি মেলেনি।
শোনা যাচ্ছে, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো, কেন্দ্রের এজেন্সির অপব্যবহার, ১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রাখা, গুজরাতের মোরবি সেতু ভেঙে পড়া, সাম্প্রদায়িক উস্কানির অভিযোগসহ মোট ২২টি বিষয়ে সরকারকে আক্রমণ করার পরিকল্পনা করেছে ১৪টি বিরোধী দল। ফলে বলা যায়, সংসদে মোদী সরকারকে কোণঠাসা করতে বিরোধীরা ঐক্যবদ্ধ থাকবে। শোনা যাচ্ছে, বিরোধীদের আক্রমণের ঝাঁঝ কমাতে এবারেও মোদী সরকার (Modi govt) সময়ের আগেই অধিবেশন শেষ করে দিতে পারে। খবর মিলেছে, আগামী ২৩ ডিসেম্বর শীতকালীন অধিবেশনে ইতি টানতে পারে মোদী সরকার। যা ২৯ তারিখ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
গতকাল রাজ্যসভায় সরব হন তৃণমূলের রাজ্যসভার (Rajya Sabha) নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর কথায়, যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোকে আঘাত, ক্রমবর্ধমান কৃষক আত্মহত্যা ও নোটবাতিলের মতো তিনটি বিষয়ে ২০১৪ সাল থেকে আলোচনার দাবি করে আসছে বিরোধীরা। কিন্তু অদ্যাবধি অনুমতি মিলছে না। কেন আলোচনা থেকে মুখ লুকাতে চাইছে মোদী সরকার? অন্যদিকে, লোকসভায় তৃণমূলের লোকসভার নেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ও সরব হয়েছেন। অরুণাচলে চীনের আগ্রাসনের নিয়ে সংসদে আলোচনার দাবিও জানিয়েছেন তিনি। চীনের আগ্রাসন প্রসঙ্গে মোদী সরকার কেন মুখে কুলুপ দিয়েছে, সেই প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে।