লিগের মরশুমে বিশ্বকাপ, ক্লাবগুলোকে ক্ষতিপূরণ দেবে FIFA
কাতারে বসেছে বিশ্বকাপের আসর, স্বভাবতই আবহাওয়ার কথা চিন্তা করেই ডিসেম্বরে হচ্ছে বিশ্বকাপ। যা ক্লাব ফুটবলের মরশুম। সেই কারণেই ফিফা ক্ষতিপূরণ দিতে চলেছে ক্লাবগুলিকে, ক্ষতিপূরণ বাবদ দিতে হচ্ছে বিপুল অঙ্কের টাকা।
বিশ্বকাপ মূলত জুন-জুলাই মাসে হয়। ওটা ক্লাব ফুটবলের মরশুম না হওয়ায় কোনও সমস্যা হয় না। কিন্তু কাতারে বিশ্বকাপের কারণে এবারের বিশ্বকাপের সময়সূচি পরিবর্তন করতে হয়েছে। দোহার গ্রীষ্মের হাত থেকে বাঁচতেই বিশ্বকাপকে টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছে নভেম্বর-ডিসেম্বরে। এতেই সমস্যায় পড়েছে ক্লাব ফুটবল, এখন সব দেশেই লিগ চলছে। ফলে লিগের মাঝখানে ফুটবলারদের ছেড়ে দিতে চায়নি ক্লাবগুলো। কারণ বিশ্বকাপ থেকে ফিরে লিগের পরের পর্বে দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব পড়তে পারে। ফলত প্রথমে এই সময় বিশ্বকাপের জন্য ক্লাবগুলি ফুটবলারদের ছাড়তেই রাজি হয়নি। ক্লাবগুলি কোটি কোটি টাকা ব্যয় করে ফুটবলারদের জন্য, তাই ক্লাবগুলিকে অর্থের প্রস্তাব দেয় ফিফা। ফিফা তরফে বলা হয়, প্রত্যেক ফুটবলারকে ছাড়ার জন্য ক্লাবগুলিকে ক্ষতিপূরণ দেবে বিশ্ব ফুটবলের নিয়মক সংস্থা।
চলতি বিশ্বকাপের ৩২টি দেশের প্রায় ৮০০-র বেশি ফুটবলার খেলছেন। যারা বিশ্বের বিভিন্ন ক্লাবে খেলেন, ইপিএল থেকে লা লিগা, বুন্দেশলিগার মতো লিগগুলিতে তারা অনেকেই খেলেন। এই প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্যে ক্লাবগুলিকে ক্ষতিপূরণ বাবদ টাকা দেবে ফিফা। এবার প্রথম এমনটা হচ্ছে।
বিশ্বকাপের জন্য ফুটবলাররা যতদিন ক্লাবের সঙ্গে থাকতে পারবেন না, দৈনিক হিসেবে ক্ষতিপূরণ অর্থ দেওয়া হবে। দিনে প্রায় ১০ হাজার ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মূল্যে প্রায় ৮ লাখ ২৭ হাজার টাকারও বেশি টাকা দেওয়া হবে। এই ক্ষতিপূরণ বাবদ ফিফাকে ১৭২৯ কোটি টাকা দিতে হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ২০টি ক্লাবকে টাকা দেবে ফিফা। সবচেয়ে বেশি টাকা পাবে ম্যাঞ্চেস্টার সিটি, ভারতীয় মূল্যে ৩৩ কোটি টাকার বেশি পাবে তারা। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে চেলসি, তারা প্রায় ২৩ কোটি টাকার বেশি টাকা পাচ্ছে। তৃতীয় স্থানে রয়েছে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড, ম্যানইউ পাবে প্রায় ২২ কোটি টাকা। এছাড়াও টটেনহ্যাম ২০ কোটি, লিভারপুল ১৫ কোটি, আর্সেনাল প্রায় ১৩ কোটি টাকার মতো ক্ষতিপূরণ পাবে। বোর্নমাউথের টাকার অঙ্ক সবচেয়ে কম তারা ভারতীয় মুদ্রায় ২ কোটি ২৩ লাখ টাকা পাবে।