দিলীপকে দরাজ সার্টিফিকেট দিল্লির, সুকান্তর বিদায়ের সময় কি তবে আগত?
দিলীপ ছাড়া বঙ্গা BJP মণি হারা ফনি! বাংলার বিজেপি দিলীপ ঘোষকে ছাড়া চলবে না। বঙ্গ বিজেপিতে প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নাকি অপরিহার্য, এমনটাই মত দিল্লির নেতার। গত সপ্তাহে ব্যান্ডেলে রাজ্য পদাধিকারীদের বৈঠকে দিলীপ ঘোষকে নিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন বিজেপির সংগঠনের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বিএল সন্তোষ। একই সঙ্গে সুকান্ত মজুমদারের প্রতিও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। সাফ বলে দেওয়া হয়েছে দিলীপকে বাদ দিয়ে সংগঠনের শক্তি বৃদ্ধি করা যাবে না। সুকান্ত মজুমদার দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির অভিজ্ঞতা কাজে না লাগালে, তাঁরই নাকি ক্ষতি হবে। একই সঙ্গে বলা হয়েছে, চিরকাল কেউ পদে থাকবে না। বিজেপির গঠনতন্ত্র ও নীতি অনুযায়ী কাজ করার নিদান দিয়েছেন তিনি। স্পষ্টত সুকান্ত মজুমদারকে চরম হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন দলের সর্বোচ্চ সাংগঠনিক এই নেতা।
এর ফলে ইতিমধ্যেই বঙ্গ বিজেপিতে, দলের সংগঠনিক রদবদলের নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়ে গিয়েছে। সুকান্ত রাজ্য বিজেপির সভাপতির দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই একের পর এক উপনির্বাচন ও পুরসভা ভোটে ব্যর্থ হয়েছে বিজেপি। সুকান্ত জমানায় বিজেপি ক্রমেই দূর্বল হয়েছে। বিজেপির অন্দরে খবর, আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনেও বিজেপি মুখ থুবড়ে পড়বে। দিল্লির নেতারা তার অভাস দিয়ে গিয়েছে।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে হঠাৎ করেই দিলীপ ঘোষকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সুকান্তকে আনা হয়েছিল দায়িত্বে। বাংলার মাটিতে দল চাঙ্গা হয়নি। রাজ্য বিজেপির সাংগঠনিক দুর্বলতা নিয়ে বারংবার সোচ্চার হয়েছিলেন দিল্লির নেতারা। সুকান্তর পাশাপাশি পদ হারাতে পারেন রাজ্যের সংগঠন সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তী। খবর মিলেছে, আগামীকাল মঙ্গলবার দিল্লিতে সাংগঠনিক রদবদল নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
খবর মিলেছে, ব্যান্ডেলের সভায় বর্তমান জেলা সভাপতিদের একাধিক অভিযোগে বিদ্ধ করেছেন সর্বভারতীয় সংগঠন সম্পাদক সন্তোষ। তিনি অভিযোগ করেন, জেলা সভাপতিরা পুরনো জেলা সভাপতিদের ফোন করেন না, তাঁদের পরামর্শ শোনেন না, বিভিন্ন কমিটিতে কেবল নিজের লোক ঢোকান। সেই সময়ই দিলীপের উদাহরণ টেনে, দিলীপ আমলে বঙ্গ বিজেপির সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন তিনি। রাজনৈতিক কারবারিদের মত, সুকান্তর বিদায় ঘন্টা বেজে গিয়েছে। তারই ইঙ্গিত দিয়েছেন বিএল সন্তোষ।