৩৬ বছরের প্রতীক্ষার অবসান, বিশ্বকাপ নিয়ে মেসিরা পৌঁছল আর্জেন্টিনায়
এক-দুই বছরের নয়, ৩৬টা বছরের দীর্ঘ প্রতীক্ষা! অবশেষে ধরা দিল স্বপ্নের বিশ্বকাপ। মেসিদের হাতে করে আর্জেন্টিনায় আসল বিশ্বকাপ। এজেইজা বিমানবন্দরের বাইরে মানুষের ভিড়। মানুষ গিজগিজ করছিল বুয়েনস এইরেসের মূল রাস্তাগুলোয়। আগে রাস্তায় নেমে পড়া মানুষের ভিড় ঠেলে যারা মূল রাস্তায় যেতে পারেননি, তারা ছড়িয়ে পড়েছেন অলি-গলিতে। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন-কখন দেশের মাটিতে পা রাখবেন মহানায়ক, কখন দেশে ফিরবেন মহাবীরের সহযোদ্ধারা!
আর্জেন্টাইনদের সেই অপেক্ষার প্রহর শেষ হয়েছে ভারতীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায়। আর্জেন্টিনায় তখন গভীর রাত, ঘড়ির কাটায় রাত ২টা ৩০ মিনিট। কিন্তু রোববার থেকে আর্জেন্টাইনদের আর রাত আছে নাকি! বিশ্বকাপ জয়ের আনন্দে তাদের রাত আর দিন তো একাকার।
অবশেষে মেসি বিমান থেকে নামলেন। তাঁর হাতেই ধরা ছিল স্বপ্নের সোনালি ট্রফি। তিনি বিমানবন্দরের বাইরে এলেন, ধীর পায়ে হেঁটে গিয়ে ছাদখোলা বাসে উঠলেন। পেছনে ছিলেন বিশ্ব জয় করা আর্জেন্টিনার বাকি খেলোয়াড়েরা। ট্রফিসহ বিশ্বজয় করা মহাতারকাকে দেখে জনতা জয়ধ্বনি দিয়ে ওঠে। ভামোস আর্জেন্টিনা-এই ধ্বনিতে যেন প্রকম্পিত হয় পুরো বুয়েনস এইরেস। এরপর ছাদখোলা বাসের যাত্রা শুরু। বুয়েনস এইরেসের বিভিন্ন রাস্তা ঘুরে যার গন্তব্য ওবেলিস্ক। যেটা উৎসবের কেন্দ্রবিন্দু। সেখানেই মেসিদের দেওয়া হবে সংবর্ধনা।
মেসিরা ছাদখোলা বাসে আর হাজার হাজার মানুষ পদব্রজে-সবার যাত্রাই বুয়েনস এইরেসের কেন্দ্রস্থান ওবেলিস্কের দিকে। রাত কেটে ভোর হবে, ভোর পেরিয়ে দুপুর, দুপুর গড়িয়ে সন্ধ্যা; কিন্তু আর্জেন্টিনার মানুষের উৎসব থামবে না। সেটা আগেই বুঝতে পেরেছিলেন আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজ। তাই তো তিনি আনন্দের এ দিনে আর্জেন্টিনায় ঘোষণা করেছেন সাধারণ ছুটি।
কাঙ্ক্ষিত ট্রফি জয়ের পর মেসি তো বলেই দিয়েছেন, উৎসবের এই মুহূর্তটা কতটা উন্মদনা ছড়ায় তা তিনি দেখার অপেক্ষায়, ‘আমি আর্জেন্টিনায় ট্রফি নিয়ে দেখতে চাই তা কতটা উন্মাদনার জন্ম দিতে পারে। আমার আর তর সইছে না।’