দেশ বিভাগে ফিরে যান

মাস্ক পরা কি ফের বাধ্যতামূলক হতে চলেছে? কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকায় যা বলা হয়েছে

December 21, 2022 | 2 min read

সামনেই বড়দিন। তারপরেই নতুন বছরের আগমনবার্তায় উৎসবের মেজাজ দেশজুড়েই। তারই মধ্যে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে কোভিড সংক্রমণের বাড়াবাড়ি।

চীনে ফের একবার উদ্বেগজনকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে কোভিড। চীন তো বটেই, জাপান, আমেরিকা-সহ একাধিক দেশে করোনা অতিমহামারীর সংক্রমণ ফের লাগামছাড়া হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত আগে থেকেই সচেতনতামূলক পদক্ষেপ করছে। বুধবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যের উপস্থিতিতে কোভিড নিয়ে একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য দপ্তরের শীর্ষ কর্তা এবং বিশেষজ্ঞরা।

বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী টুইট করেন, “কোভিড এখনও যায়নি।” ওই টুইটেই তিনি জানান, সব রকম পরিস্থিতির মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছে ভারত। সেই পরিস্থিতিতে বড়দিনের আগেই কোভিড নিয়ে নয়া নির্দেশিকা জারি করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মণ্ডবিয়া। জনবহুল স্থানে ফের দেশবাসীকে মাস্ক ব্যবহার করার উপদেশ দিয়েছেন তিনি।

এদিনের বৈঠকে উপস্থিত সকলকেই মাস্ক পরে দেখা গিয়েছে। দেশে কোভিডবিধি কার্যকর থাকলেও মাস্ক পরা আর বাধ্যতামূলক নয়। পুনরায় মাস্ককে বাধ্যতামূলক করা হবে কি না, তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।

বৈঠকে একাধিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য কোন কোন সাবধানতামূলক পদক্ষেপ করা হবে, তা নিয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। আসন্ন বড়দিন এবং ইংরেজি নববর্ষ চিন্তায় রাখছে কেন্দ্রকে। দেশের বিভিন্ন শহরে এই দু’দিন উদ্দাম জনস্রোত কোভিডবিধি মানবে না, এটা এক প্রকার ধরে নিয়েই এগোতে চাইছে কেন্দ্র। এখনই বছর শেষের পার্টি কিংবা বিচিত্রানুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি না হলেও সাবধানে পা ফেলতে চাইছে সরকার। অপর দিকে দেশের জনগোষ্ঠীর বড় একটা অংশ বুস্টার ডোজ় নেয়নি। তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্র।

চীন, জাপান, আমেরিকা, কোরিয়া এবং ব্রাজিল থেকে আসা যাত্রীদের উপরে বিশেষ নজরদারি চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে। ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্টের হদিস পেতে সমস্ত রাজ্যে আক্রান্তদের জিনোম সিকয়েন্সিং বাধ্যতামূলক বলে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, প্রবল গণবিক্ষোভের মুখে পড়ে কিছু দিন আগেই শূন্য কোভিডনীতি শিথিল করেছিল চীনের প্রশাসন। তারপরই সে দেশে হু হু করে বাড়তে থাকে সংক্রমণ, বাড়তে থাকে মৃত্যুর সংখ্যাও।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#mask, #COVID2019, #India

আরো দেখুন