৯ রাজ্যে ভোট, ভাঁড়ারে টান পড়লেও ফ্রি গম দেবে মোদী সরকার?
মাথায় নয় রাজ্যের ভোটের বোঝা, তাই ভাঁড়ার খালি হয় হোক কিন্তু প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা (PM-GKAY) চালিয়ে যাবে মোদী সরকার। এ বছর গমের উৎপাদন কমেছে। এমতাবস্থায় প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনা চালিয়ে যেতে বাড়তি ৪৪ হাজার কোটি টাকা খরচ হবে। কিন্তু ভোট বড় বালাই, তাই ফ্রি পাঁচ কেজির রেশন প্রকল্পের মেয়াদ আরও তিন মাস বাড়াচ্ছে মোদী সরকার। ফেব্রুয়ারি মাসে ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং নাগাল্যান্ডে ভোট। তারপরেই মিজোরাম, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান, কর্ণাটক এবং তেলেঙ্গানায় ভোট হবে। বস্তুত ভোটারদের মন পেতে মার্চ মাস পর্যন্ত ফ্রি রেশন প্রকল্পের সময়সীমা বাড়াচ্ছে মোদী সরকার।
যদিও জানা যাচ্ছে, শুক্রবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সরকারি সূত্রে জানা গিয়েছে, খাদ্যমন্ত্রক থেকে এই সংক্রান্ত ফাইল অর্থমন্ত্রকের ডিপার্টমেন্ট অব এক্সপেন্ডিচারে গিয়েছে। মোদী নিজেই বিরোধী দলগুলিকে খয়রাতির রাজনীতি বলে কটাক্ষ করেন, অথচ নিজেই সে পথ অবলম্বন করছেন। কোভিড কাটিয়ে পরিস্থিতি প্রায় আগের পর্যায়ে ফিরে এসেছে। পরিযায়ী শ্রমিক সমস্যা নেই। কিন্তু তাও ফ্রি রেশন থেকে পিছু ছাড়ছে না মোদী সরকার (Modi Govt)। গমের উৎপাদন কম হওয়ায় বহু জায়গায় প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনায় চাল দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি শাসিত রাজ্য মধ্যপ্রদেশে এই ঘটনায় আবার আপত্তি উঠেছে।
কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র সিং তোমার (Narendra Singh Tomar) জানিয়েছেন, এবার গমের উৎপাদন কম হতে পারে। পরিসংখ্যান বলছে গতবারের তুলনায় প্রায় আড়াই শতাংশ কমে ১০৬.৮৪ মিলিয়ন টন গম উৎপাদিত হতে চলেছে এবার। সরকারি মজুত ভাঁড়ারের অবস্থাও রুগ্ন। খাদ্য ও গণবণ্টন মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, এখন ১৮০ লক্ষ মেট্রিক টন গম মজুত আছে। চাল রয়েছে ১০৪ লক্ষ মেট্রিক টন। তিন মাস পাঁচ কেজির ফ্রি রেশন দিতে ১২২ লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যের দরকার। মার্চ পর্যন্ত ফ্রি রেশনের মেয়াদ বাড়ালে মজুত ভাঁড়ারে চাপ পড়বে। কোষাগারের অবস্থাও খারাপ হবে।
প্রসঙ্গত, ২০২০-এর এপ্রিল থেকে আরম্ভ করে চলতি ডিসেম্বর পর্যন্ত ফ্রি রেশন প্রকল্প চালাতে ৩ লক্ষ ৯১ হাজার কোটি টাকা মোদী সরকারকে ভর্তুকি দিতে হয়েছে। কিন্তু করোনা পরিস্থিতি কেটে যাওয়ার পরেও কেন ফ্রি রেশন প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর হচ্ছে? ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।