আলিমুদ্দিনের কড়া নির্দেশ উপেক্ষা করেই গ্রাম বাংলায় রাম-বাম জোট!
রাজ্য রাজনীতিতে রাম-বাম আঁতাতের তত্ত্ব নিয়ে গত কয়েক বছর ধরেই চর্চা চলছে। রাজ্যের তৃণমূল (TMC) সরকারকে পরাস্ত করতে নিচু তলায় বিজেপি এবং সিপিএম হাত মিলিয়েছে বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ উঠেছে।
এমন কী সম্প্রতি সিপিএমের রাজ্য কমিটির বৈঠকে এই বিষয়ে রিপোর্টও জমা পড়েছে। সিপিএম সূত্রে খবর, কিছু জেলার নেতৃত্ব আলিমুদ্দিনে নিচু তলায় রাম-বাম জোটের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে বলে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। পঞ্চায়েত স্তরে তৃণমূলকে হারাতে একের বিরুদ্ধে সব পক্ষের একজোট হওয়ার মনোভাব দেখা যাচ্ছে বলে রাজ্য কমিটির একাধিক সদস্য উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
ওই রিপোর্ট যে কতটা সত্যি তার প্রমাণ মিলল, হুগলির দাদপুর (Dadpur) থানা এলাকার পাঁজিপুকুরের হারিচ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সেখানে মিছিলে স্লোগান উঠল, নরেন্দ্র মোদী জিন্দাবাদ। আর সঙ্গে সিপিএমের লাল ঝান্ডা!
হরিপুর গ্রামের বাসিন্দা শম্ভু মিদ্যা দু’কাধে সিপিএমের লাল ঝান্ডা এবং বিজেপির (BJP) গেরুয়া পতাকা নিয়ে হাজির। তাঁর দাবি, তিনি আগে সিপিএম করতেন। দলের নেতাদের এখন দেখা মেলে না। তাই হকের দাবি আদায়ে বাধ্য হয়ে বিজেপি করছেন।
সিপিএমের পতাকা নিয়ে এলেন কেন? শম্ভুর জবাব, ‘‘সিপিএম করি বলে সিপিএমের পতাকা নিয়ে এসেছি।’
সিপিএম নেতারা অবশ্য হাত ধরাধরির কথা মানতে চান না। সিপিএমের হুগলি জেলার সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘সিপিএমের কোনও কর্মী ছিলেন না। ওটা বিজেপির কর্মসূচি ছিল। সেখানেই রাস্তার পাশে আমাদের কিছু পতাকা লাগানো ছিল। সেই ঝান্ডাগুলো নিজেরাই তুলে এনে সিপিএম যোগ দিয়েছে বলে দাবি করেছে বিজেপি। আমাদের কি মাথাখারাপ!
অন্যদিকে বিজেপি নেতা অর্ঘ্য চক্রবর্তীর দাবি, সিপিএমের (CPM) স্থানীয় কর্মীরা দিশাহীনতায় ভুগছেন। তাঁদের নেতাদের দেখা পাওয়া যায় না। তাই ন্যায্য দাবি আদায়ে তাঁরা বিজেপির ছাতার তলায় আসছেন!
আলিমুদ্দিন দলীয় পর্যায়ে বিজেপির হাত না ধরার কড়া নির্দেশ দিলেও বাস্তবে নিচুতলায় তা প্রতিফলিত হচ্ছে না। হুগলির এই ঘটনা সেটাই প্রমান করে।