রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

বঙ্গ বিজেপি’র অন্দরে এবার অর্থনৈতিক কোন্দল!

December 26, 2022 | 2 min read

গোষ্ঠী কোন্দলে জর্জরিত বঙ্গ বিজেপি’র কোষাগারের উপর ‘বিশেষ’ নজরদারি চালাবে দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব! পাশাপাশি রাজ্য বিজেপির খরচেও রাশ টানতে চাইছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

রাজ্য বিজেপি’র বিরুদ্ধে আর্থিক গরমিলের অভিযোগ উঠেছে বিভিন্ন সময়। একসময় রাজ্যের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন বাঙালি। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পরায় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব না কী আর কোনও বাঙালির উপর ভরসা করতে পারেন নি। তাই তারা কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব অবাঙালিদের দিতে শুরু করে। কিন্তু তাতেও সমস্যার সমাধান হয়নি। বিশেষ করে একুশের বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখে জলের মতো টাকা খরচ করেছিল বিজেপি। কোটি কোটি টাকা বঙ্গ বিজেপি’র জন্য বরাদ্দ করেছিল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

কিন্তু সেই অনেক রাজ্য নেতার বিরুদ্ধেই আর্থিক নয়ছয়ের অভিযোগ জমা পড়েছিল। এমন অভিযোগও জমা পড়েছিল, যেখানে বলা হয়েছিল অনেক রাজ্য নেতাই জেলার নেতাদের কাছ থেকে ‘কাট মানি’ নিচ্ছেন! শুধু তাই নয়, একুশের ভোটের আগে জেলা জালায় পার্টি অফিস বানানোর জন্যে প্রচুর টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সুযোগে অনেক পদাধিকারিই ভুয়ো পার্টি অফিস দেখিয়ে টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এই সব বিষয়েই রিতিমতো বিরক্ত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই এবার বঙ্গ বিজেপির আর্থিক খরচে নজরদারি করতে তৈরি করে দেওয়া হল কেন্দ্রীয় মনিটরিং টিম। আর্থিক খরচের ক্ষেত্রেও রাজ্যি বিজেপির ক্ষমতা অনেকখানি খর্ব করা হয়েছে বলেই দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। বঙ্গ বিজেপির ৪২টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে প্রায় অর্ধেক জেলাতেই সদর কার্যালয় নির্মাণ হয়নি। বাড়ি ভাড়া নিয়ে চলছে। একুশের ভোটের আগে জেলা পার্টি অফিস বানানোর জন্য জমি খোঁজার কাজ শুরু হয়। কিন্তু ভোটে দলের বিপর্যয়ের পর সেই উদ্যোগ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে ফের পার্টি অফিসের জন্যউ জমি খোঁজার কাজ শুরু হয়েছে। তবে এবার এক্ষেত্রে রাজ্যের টিমের উপর নজর রাখছে কেন্দ্রীয় মনিটরিং টিম। এই কেন্দ্রীয় টিমে অসমের এক সাংসদ রয়েছেন। পুরো কার্যালয়টি ৭ থেকে ১০ হাজার বর্গ ফুটের করার কথা বলা হয়েছে। পাঁচ থেকে সাত কাঠা জায়গা নিতে বলা হয়েছে।


এদিকে, বিভিন্ন জেলা পার্টির জন্যা বরাদ্দতেও রাশ টানা হয়েছে বলে দলীয় সূত্রে খবর। যে সাড়ে ১৭ হাজার করে দেওয়া হচ্ছে, তা সারা মাসের গাড়ির তেল খরচেই কার্যত শেষ হয়ে যাচ্ছে। পার্টি অফিস ভাড়া, ইলেকট্রিকের খরচও উঠছে না। ফলে এত কম পরিমাণ টাকা নিয়ে দলের অন্দরেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন জেলা সভাপতিরা। দলের জোন ইনচার্জ ও জেলা ইনচার্জদের গাড়ির ভাড়া ও থাকার খরচও রাজ্যদ পার্টির তরফে আসছে না বলে অভিযোগ।

ফলে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে যখন প্রতিটি বুথে সংগঠন জোরাল করতে বলা হচ্ছে, তখন এই ‘আর্থিক সঙ্কটে’ তা কি আদৌ সম্ভব হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিজেপি’র জেলার নেতারা। আবার দলের অনেক বিক্ষুব্ধই বলছেন, একদম ঠিক কাজ করেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। কিছু লোক দলটাকে লুটেপুটে খাচ্ছে, ফলে এই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত একেবারে সঠিক।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#bjp, #west bengal BJP, #politics, #Funds, #West Bengal

আরো দেখুন