করোনা আতঙ্ক: ন্যাজাল টিকা কি সবাই নিতে পারবেন?
করোনা নিয়ে নতুন করে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এরই মধ্যে বাজারে আসতে চলেছে ভারত বায়োটেকের তৈরি ন্যাজাল টিকা ইনকোভ্যাক (iNCOVACC)। বিশেষজ্ঞদের আশা, এই টিকার কার্যকারিতা ইতিবাচক ফল আনবে। কিন্তু চাইলেই কি আপনি এই ন্যাজাল টিকা নিতে পারবেন?
ন্যাশনাল টেকনিক্যাল গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (এনটিএজিআই)-এর প্রধান এনকে অরোরা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, ‘‘নাকে দেওয়ার কোভিড টিকা প্রথম বুস্টার টিকা হিসাবে নেওয়া যেতে পারে। যদি কেউ আগেই বুস্টার টিকা নিয়ে থাকেন তা হলে তাঁকে নাকে দেওয়ার কোভিড টিকা দেওয়া হবে না। এই টিকা তাঁদের জন্য যাঁরা এখনও বুস্টার টিকা নেননি। কো-উইন পোর্টালে কেউ চতুর্থ বার কোভিড টিকার জন্য নাকে দেওয়া টিকার বুকিং করলে তা গ্রহণ করা হবে না।’’
উল্লেখ্য, ওমিক্রনের নয়া রূপ বিএফ.৭ (BF.7) চীনে মহামারিরূপে দেখা দেওয়ার পর থেকেই ভারত সতর্ক পা ফেলছে। তারপরই ভারত বায়োটেকের ন্যাজাল টিকা ইনকোভ্যাক (iNCOVACC) অনুমোদন পায় কেন্দ্রের। কোউইন অ্যাপেও এই টিকাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। কিন্তু, মানুষের মনে প্রবল দ্বিধা দেখা দিয়েছে যে কারা এই টিকা নিতে পারেন।
অনেকে প্রিকশন ডোজ নেওয়ার পরও ন্যাজাল ভ্যাকসিন নেওয়ার পরিকল্পনা করছেন। কিন্তু টাস্ক ফোর্সের তরফে তাঁদের সতর্ক করা হল। এনকে আরোরা বলেছেন, ‘‘ধরে নেওয়া যাক আপনি কোভিড টিকার চতুর্থ ডোজ় নিতে চান। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ‘অ্যান্টিজেন সিঙ্ক’ বলে একটি কথা আছে, সে ক্ষেত্রে যদি কোনও ব্যক্তিকে বার বার একটি নির্দিষ্ট ধরনের অ্যান্টিজেন দিয়ে টিকা দেওয়া হয়, তবে তাঁর শরীরে সেই রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা দুর্বল হয়ে পড়ে। সেই কারণেই প্রাথমিক ভাবে এমআরএনএ টিকা ছয় মাসের ব্যবধানে দেওয়া হত। পরবর্তী সময়ে, মানুষ তিন মাসের ব্যবধানে এই টিকা নিতে শুরু করেছেন। কিন্তু সে ক্ষেত্রে এই টিকা খুব বেশি সাহায্য করেনি। তাই এই মুহূর্তে কোভিড টিকার চতুর্থ ডোজ় নেওয়ার কোনও মূল্য নেই।’’
সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সরকারি হাসপাতালে ন্যাজাল টিকা মিলবে ৩২৫ টাকায়। বেসরকারি হাসপাতালে সেই টিকা বিক্রি হবে ৮০০ টাকায়। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সকলেই এই টিকা নিতে পারবেন বুস্টার ডোজ হিসেবে। জানুয়ারি মাসের চতুর্থ সপ্তাহ থেকে এই টিকা দেওয়া শুরু হবে।