নোটবন্দির ৮ বছর পরও কারেন্সি ইন সার্কুলেশনে বৃদ্ধি ৮৩%! সাফল্য নিয়ে উঠছে প্রশ্ন
২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর, মোদী ঘোষণা করেন নোটবন্দি। তারপর অনেক জল বয়ে গিয়েছে, নোটবন্দির যৌক্তিকতা ও প্রক্রিয়া নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। প্রায় ৫৮টি মামলা হয়েছে শীর্ষ আদালতে। গতকাল সুপ্রিম কোর্ট নোট বন্দির সিদ্ধান্তকে মান্যতা দিয়েছে। প্রকাশ্যে এসেছে এক পরিসংখ্যান। দেখা যাচ্ছে, কারেন্সি ইন সার্কুলেশন অর্থাৎ মানুষের হাতে নগদ অর্থের লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে। নির্দিষ্ট করে বলতে গেলে, সিআইসি-এর উপর কোনও প্রভাব ফেলতেই পারেনি ডিমনিটাইজেশন, উল্টে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বরের পর থেকে সিআইসি প্রায় ৮৩ শতাংশ বেড়েছে।
নোট বাতিলের সময় মোদী সরকার তরফে দাবি করা হয়েছিল, নোট বাতিলের মূল উদ্দেশ্য ছিল ডিজিটাল লেনদেন বাড়ানো এবং কালো টাকার রমরমা বন্ধ করা। কিন্তু তার কিছুই বাস্তবায়িত হয়নি। ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তথ্য বলছে, ২০১৬ সালের ৪ নভেম্বর সিআইসি ছিল ১৭.৭৪ লক্ষ কোটি টাকা, ২০২২ সালের ২৩ ডিসেম্বর তা বৃদ্ধি পেয়ে ৩২.৪২ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছেছে। বিগত বছরের মার্চ মাসে সিআইসির পরিমাণ ছিল ৩১.০৫ লক্ষ কোটি টাকা। বৃদ্ধির হার ছিল ৯.৮৬ শতাংশ।
নোট বাতিলের ঠিক পরেই ২০১৭ সালের ৬ জানুয়ারি সিআইসি ৯ লক্ষ কোটি টাকায় নেমে আসে। ওই বছর জুন থেকে সিআইসি ফের বাড়তে শুরু করে। নোট বাতিলের পর থেকেই, যত সময় এগিয়েছে সিআইসি ততই বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে সিআইসি ৩৭.৬৭ শতাংশ বেড়ে ১৮.০৩ লক্ষ কোটি টাকা হয়েছে। ২০১৯-এর মার্চের শেষে ১৭.০৩ শতাংশ বেড়ে ২১.১০ লক্ষ কোটি টাকায় পৌঁছয় সিআইসি। ২০২০ সালের শেষের দিকে সিআইসির পরিমাণ হয় ২৪.২০ লক্ষ কোটি টাকা, বৃদ্ধির হার হয় ১৪.৬৯। ২০২১-এর ৩১ মার্চে সিআইসির পরিমাণ দাঁড়ায় ২৮.২৬ লক্ষ কোটি টাকা। এবার সিআইসি বৃদ্ধির পরিমাণ রেকর্ড গড়ল