রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

মতুয়াগড়ে ধুঁকছে BJP, শান্তনুর খবরদারি মানতে নারাজ জেলা সভাপতির গোষ্ঠী?

January 3, 2023 | 2 min read

সামনেই বঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন, রাজনৈতিক দলগুলো ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি আরম্ভ করে দিয়েছে। কিন্তু বিজেপির অন্দরে চলছে অন্তর্কলহ। মতুয়াগড় বনগাঁয় গেরুয়া শিবিরের কোন্দল চরমে। গতকাল বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদারের গোপালনগরের বাড়িতে পঞ্চায়েত নিয়ে প্রস্তুতি বৈঠক করে বিজেপি। সেখানে হাজির ছিলেন মতুয়া অধ্যুষিত এলাকার পাঁচ বিধায়ক ও এক সাংসদ হাজির ছিলেন। যদিও বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur) ও তাঁর ভাই তথা গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর (Subrata Thakur) ওই বৈঠকে ছিলেন না। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করেই বিজেপি কর্মীদের মধ্যে তীব্র চাঞ্চল্য শুরু হয়েছে। কোন্দলের জেরে মতুয়াগড়ে পৌর ভোটে মুখ থুবড়ে পড়েছিল বিজেপি। দলের নেতাদের একাংশের বক্তব্য, পঞ্চায়েত ভোটেও বদলাবে না ছবি, এমন কোন্দল চলতে থাকলে ভরাডুবি হওয়া স্রেফ সময়ের অপেক্ষা মাত্র।

বিজেপি নেতারা বলাবলি করেন, বনগাঁ সাংগঠনিক জেলায় বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দল মারাত্মক আকার নিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই এমনটা চলছে। শোনা যায়, বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার জেলা সভাপতি রামপদ দাসের সঙ্গে শান্তনু ঠাকুরের মুখ দেখাদেখিও নাকি বন্ধ। রামপদবাবুর গোষ্ঠীতেই রয়েছেন বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক স্বপন মজুমদার (Swapan Majumder)। তিনি আবার বিজেপির নবদ্বীপ জোনের দায়িত্বেও রয়েছেন। বনগাঁ ও নবদ্বীপে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা বেশি। এই শিবির শান্তনুর খবরদারি মানতে নারাজ।

গোপালনগরের পাল্লায় স্বপনবাবুর বাড়িতে হাওয়া বৈঠকে রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার, কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়, রানাঘাট উত্তর-পশ্চিমের বিধায়ক পার্থসারথী চট্টোপাধ্যায়, রানাঘাট উত্তর-পূর্বের বিধায়ক  অসীম বিশ্বাস, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, চাকদহের বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষরা হাজির ছিলেন। শান্তনু ও সুব্রত ঠাকুরের সঙ্গে বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়াও ছিলেন না বৈঠকে। অশোকবাবু আবার শান্তনু-ঘনিষ্ঠ হিসেবেই পরিচিত। বনগাঁয় বিজেপি যে ভাগ হয়ে গিয়েছে, তা স্পষ্ট। তবে বৈঠকে উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি প্রসঙ্গে কোনও শিবিরের কেউই কিছু মন্তব্য করেননি।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#west bengal BJP, #Shantanu thakur, #Subrata Thakur, #Swapan Majumder, #bjp

আরো দেখুন