কলকাতায় সম্পত্তি কর এবার বাড়তে পারে?
গত বুধবার পুরসভার মেয়র পরিষদের বৈঠকে ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট বা এলাকাভিত্তিক কর মূল্যায়ন প্রক্রিয়া সংশোধন সংক্রান্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এর ফলে সম্পত্তিকর কিছুটা হলেও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
কলকাতায় সম্পত্তি কর নির্ধারণের ক্ষেত্রে ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট বা এলাকাভিত্তিক করব্যবস্থা চালু হয়েছে আগেই। এবার সেই কর পদ্ধতির নিয়ম মেনে ‘বেস ভ্যালু’ বাড়ানো হচ্ছে। বিষয়টি অনুমোদনের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে। নিয়ম অনুযায়ী নবান্নের ছাড়পত্র মিললেই শহরে সার্বিকভাবে বাড়বে সম্পত্তি কর।
পুরসভার কররাজস্ব বিভাগের নয়া প্রস্তাবঅনুযায়ী, ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্টের এই ন্যূনতম মূল্য কিছুটা বাড়বে। কর রাজস্ব বিভাগের এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্টের যে সম্পত্তিকর-কাঠামো রয়েছে, পাঁচ বছর অন্তর সেটি সংশোধন করা হয়। সেই সংশোধন প্রক্রিয়া চলছে। নতুন প্রস্তাব কার্যকর করতে রাজ্য সরকারের কাছে পাঠানো হবে।’’
নয়া প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রতিটি ভাগে প্রতি বর্গফুট জায়গায় প্রায় ১০ থেকে ১৫ শতাংশ ন্যূনতম মূল্য বাড়বে। পুরসভার এক আধিকারিক জানান, ন্যূনতম মূল্যের উপরেই চূড়ান্ত কর নির্ধারণ হয়ে থাকে। তাই এটি বাড়লে সম্পত্তিকরের অঙ্কও বেড়ে যাবে। ২০১৭ সালের ১ এপ্রিল থেকে এই কর কাঠামো (ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট) কার্যকর হয়েছিল।
যদিও, এ প্রসঙ্গে মেয়র ফিরহাদ হাকিম জানান, কারও সম্পত্তি কর ২০ শতাংশের বেশি কমবে না। আবার ২০ শতাংশের বেশিও কর বাড়বেও না। এলাকাভিত্তিক কর পরিকাঠামো এমনভাবে করা হয়েছে, যেখানে স্বাভাবিকভাবে উচ্চবিত্তদের বেশি কর গুনতে হবে। মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্তরা তুলনায় কম কর দেবেন। সেভাবেই এলাকাভিত্তিক ‘গ্রেড’ দেওয়া হয়েছে।
মেয়র আরও বলেন, ‘কর বৃদ্ধির কোনও আশঙ্কা নেই। ‘এ’ ক্যাটাগরি এলাকার মধ্যে বস্তি থাকলে সেটা ‘জি’ ক্যাটাগরি হবে। অর্থাৎ,কিছু সংজ্ঞা বদল করা হয়েছে। বিলাসবহুল আবাসন হলে ‘এ’ ক্যাটাগরিতেই থাকবে, সেটা যে এলাকাতেই হোক।’’
পুরসভার কররাজস্ব বিভাগের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, শহর কলকাতায় ফ্ল্যাটের কর বৃদ্ধি করা হচ্ছে না। বকেয়া কর মিটিয়ে দিলে নিষ্পত্তি কর নেওযা হবে ওই ২০ শতাংশ হারেই। বকেয়া করের অঙ্ক তার বেশি হলেও তা নেওয়া হবে না। কর সাধারণ হারে বাড়ানোর ক্ষেত্রে কুড়ি শতাংশের স্ল্যাব বেঁধে দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘ দিন কর বাকি থাকলেও তার অঙ্ক বেশি হলেও নিষ্পত্তিজনিত কর ২০ শতাংশের বেশি নেওয়া যাবে না। পুরনো বাড়ি, ভাড়াটে আছে এমন বাড়ির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম কার্যকর করা হবে।