রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

তাঁতিদের ঋণের আবেদন বাতিল! বাংলার বস্ত্রশিল্পকে ধ্বংস করছে মোদী সরকার?

January 10, 2023 | 2 min read

বাংলার তাঁতিদের ঋণের আবেদন বাতিল! বাংলার তাঁতিরা কি মোদী সরকারের প্রতিহিংসার শিকার? পরিসংখ্যান বলছে উত্তরটা হ্যাঁ। একাধিক আচরণে মোদী সরকার প্রমাণ করেছে যে তারা কার্যত অলিখিত অর্থনৈতিক অবরোধ চালাচ্ছে বাংলার বিরুদ্ধে। রেহাই পাচ্ছেন না বঙ্গের তাঁতিরাও। বাংলার তাঁতি ও বস্ত্রবয়ন শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কারিগরদের ব্যাংক ঋণের আবেদন লাগাতার খারিজ হচ্ছে। সংখ্যাটা নেহাত কম নয়, প্রায় ৪০,০০০। বিগত বছর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত, ছয় মাসের মধ্যে বাংলার ১৫,২৯৮ জন তাঁতি ঋণের জন্যে আবেদন করেছিলেন, তার মধ্যে ১০,১০৮ জনের ঋণের আবেদন খারিজ করা হয়েছে। অর্থাৎ ৬৬ শতাংশ তাঁতিই ঋণ পাননি।

যাদের ঋণের আবেদন বাতিল করা হয়েছে, তাদের প্রত্যেকেরই তাঁতি ক্রেডিট কার্ড ছিল। ডিআইসি অর্থাৎ জেলা শিল্প কেন্দ্রের মাধ্যমে, নিয়ম মেনে ঋণের আবেদনগুলি করা হয়েছিল। ব্যাংকের যাবতীয় নিয়ম মানা হয়েছিল কিন্তু তা সত্ত্বেও আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।

একই রকমভাবে বাংলার বস্ত্র শিল্পের সঙ্গে যুক্ত ৪৮,১৫৩ জন কারিগর ঋণের জন্য আবেদন করেছিলেন, তার মধ্যে ২৯৬৫৬টি আবেদনই খারিজ করে দিয়েছে ব্যাঙ্কগুলি। এক্ষেত্রে প্রত্যাখ্যানের হার ৬২ শতাংশ। প্রত্যাখ্যানের হার৷ এই ঋণের আবেদনগুলিও ডিআইসি দ্বারা যাচাই করা হয়েছিল। কারিগরদের সকলেরই ক্রেডিট কার্ড ছিল। এই বিপুল সংখ্যক ঋণের আবেদন বাতিল হওয়ার কারণ মোদী সরকারের নিয়মের প্যাঁচ। ক্ষুদ্র তাঁতি ও কারিগরদের জন্যেও প্যান কার্ডসহ বিভিন্ন নথি থাকা বিজ্ঞপ্তি জারি করে বাধ্যতামূলক করে মোদী সরকার। আরবিআইও একই ধরণের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। সাফ কথায়, মোদী সরকার এবং আরবিআইয়ের এই ধরণের বিজ্ঞপ্তিগুলি ক্ষুদ্র উদ্যোগে গলা টিপে মারছে। নিয়মের বেড়াজালে ব্যাঙ্কগুলোর হাত-পা বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বাংলায় সংখ্যাটা চল্লিশ হাজার, মনে করা হচ্ছে গোটা দেশে প্রায় ১০ লক্ষ ক্ষুদ্র তাঁতির ঋণের আবেদন খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Weavers, #Modi Government, #West Bengal

আরো দেখুন