প্রবাসী ভারতীয় দিবসে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা, ক্ষুব্ধ অতিথিরা
প্রবাসী ভারতীয় দিবস সম্মেলনে (Pravasi Bhartiya Divas) চূড়ান্ত অব্যবস্থা নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন প্রবাসীরা। ১৭তম প্রবাসী ভারতীয় দিবস সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে।
সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় ইন্দোরে প্রবাসী ভারতীয় দিবসে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। বৈধ পাস থাকা সত্ত্বেও অসংখ্য এনআরআই’কে মূল প্রেক্ষাগৃহে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শুনতে দেওয়া হয়নি। আয়োজকদের বক্তব্য ছিল ২০০০ জনের বেশি আসন ওই প্রেক্ষাগৃহে নেই।
আর এতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন বহু প্রবাসী ভারতীয়। তাঁরা বলেন, আমরা নিজেদের নাম অনেক আগে থকেই নিথভুক্ত করে এই সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছিলাম। নিজেদের অর্থ খরচ করেই। অথচ আমাদের ডেকে এনে এভাবে অপমান করার অর্থ কী? যেখানে ‘অতিথি দেব ভব’ বলা হয়!
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সম্মেলনে নিজের ভাষণে বলেছিলেন, ‘এই প্রবাসী ভারতীয় দিবসটি বিভিন্ন দিক থেকে বিশেষ। মাত্র কয়েক মাস আগে, আমরা ভারতের স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপন করেছি। এখানে স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। দেশ অমৃত যুগে প্রবেশ করেছে। ভারতের বৈশ্বিক দৃষ্টি আরও শক্তিশালী হবে এই সময়কালে।’
ক্ষুব্ধ এক প্রবাসী ভারতীয় বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) ভারতকে ‘গ্লোবাল পাওয়ার’ হিসেবে দেখতে চান, অথচ সেই দেশ ৩ হাজার মানুষের বসার ব্যবস্থা করতে পারে না! এর থেকে লজ্জার আর কিছু হয় না, ‘গ্লোবাল পাওয়ার’ হওয়া তো অনেক দূরের বিষয়।
আমেরিকা থেকে আসা জুলি জৈন (Juli Jain) বলেন, “আমাদের বলা হয়েছিল টিভিতে অনুষ্ঠানটি দেখেতে। কেন আমরা টিভিতে অনুষ্ঠানটি দেখব? আমি তো এটা বাড়িতে বসেও করতে পারতাম, তাহলে কেন আমাকে এত খরচ করে এখানে আসতে হল? এটা খুবই অপমানজনক। এটা কি অতিথি দেবো ভাব? প্রতিদিন সংবাদমাধ্যমে এতো সব কথা ফলাও করে বলা হচ্ছে, এটা করা হচ্ছে, সেটা করা হচ্ছে, এটা তার নমুনা? অনেকে নিজের দেশে বিনিয়োগ করার কথা ভাবছিলেন, কিন্তু তাঁরা ক্ষুব্ধ হয়ে সেই পরিকল্পনা থেকে পিছু হটে আসছেন।’’
আবার, জামাইকা থেকে আসা একজন এনআরআই বলেন, ‘ভাবতে পারেন ভারত সরকারের আমন্ত্রণপত্র থাকা সত্ত্বেও জামাইকার মন্ত্রীদের নিয়ে ১৫ জনের একটি প্রতিনিধি দলকে প্রেক্ষাগৃহের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে! আমরা অনেক পরিশ্রম করে নতুন বিনিয়োগের একটা পথ খুলেছিলাম। শিবরাজ সিং চৌহানের জন্য তা ধুলোয় মিশে গেল। ওনাকে এই মূহূর্তে সরিয়ে দেওয়া উচিত। যাঁরা ৩ হাজার জন মানুষকে সামলাতে পারেন না, তারা আবার ‘গ্লোবাল পাওয়ার’ হওয়ার স্বপ্ন দেখেন কীভাবে?’