আগাম ঘোষণা ছাড়াই বন্ধ পোস্ট অফিসের কাজ, চরম দুর্ভোগে আমজনতা
আজও দেশের মানুষের ভরসার নাম পোস্ট অফিস। কিন্তু গত তিনদিন আমজনতা পেল না পরিষেবা! সরকারি-বেসরকারি হাজারও আর্থিক সংস্থার ভিড়ে ডাকঘরের জনপ্রিয়তা এখনও শীর্ষে। ডাকঘরই দেশের সবচেয়ে বড় ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা। গোটা দেশে ছড়িয়ে থাকা প্রায় ১লক্ষ ৫৬ হাজার ডাকঘরের পরিষেবার নেন কয়েক কোটি মানুষ। এহেন একটি বহুল ব্যবহৃত পরিষেবা বন্ধ রাখা হল গোটা দেশে, তাও একদিন নয় প্রায় টানা তিন দিন বন্ধ থাকল ডাকঘরের পরিষেবা। কোনরকম আগাম ঘোষণা ছাড়া, ডাকঘরের আর্থিক পরিষেবা টানা তিনদিন বন্ধ রাখায় চরমে পৌঁছল গ্রাহকদের দুর্ভোগ। গত সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত পোস্ট অফিসের কয়েক কোটি গ্রাহক দুর্ভোগের সাক্ষী থাকলেন। আগাম না জানিয়ে আর্থিক লেনদেন বন্ধ হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হয় আমজনতা। কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছিল কোর ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা।
কিন্তু কেন এমনটা হল? জানা গিয়েছে, এ জিনিস পরিকল্পনা অনুযায়ীই ঘটেছে। হঠাৎ করে কোনও বিপত্তি হয়নি। পরিকল্পনামাফিক প্রযুক্তিগত কয়েকটি পরিবর্তনের জন্যই ডাকঘরের ব্যাঙ্কিং সিস্টেম বন্ধ রাখা হয় বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্তারা। গ্রাহকদের অভিযোগ, সোমবার থেকে পোস্ট অফিসে তারা কোনও রকমের আর্থিক পরিষেবা পাননি। টাকা তোলা বা টাকা জমা করতে পারেননি তারা। ডাক বিভাগ সংক্রান্ত কাজ যেমন, পার্সেল বুকিং বা ওই জাতীয় পরিষেবাগুলো কিছু কিছু ক্ষেত্রে মিলেছে। সেভিংস স্কিমের সার্টিফিকেট জমা বা চেক জমা করার মতো পরিষেবাগুলিও সঠিক সময় পাননি গ্রাহকরা।
প্রশ্ন উঠছে, গোটা বিষয়টি যখন পূর্ব নির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী হয়েছে, তখন গ্রাহকদের আগে থেকে জানানো হল না কেন?
ডাককর্মীদের দাবি, এ বিষয়ে গ্রাহকদের জানানোর জন্য ডাকঘরগুলিকে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি বলে। জানা গিয়েছে, সফ্টওয়্যারের বদল সংক্রান্ত কাজের জন্য কোর ব্যাঙ্কিং ব্যবস্থা সাময়িক বন্ধ রাখা হয়েছিল। একই সঙ্গে পোস্টাল জীবন বিমাসহ অন্যান্য আর্থিক পরিষেবাগুলিও দেওয়া যায়নি। গোটা দেশেই ব্যাহত হয়েছে পরিষেবা। প্রায় কোনও পোস্ট অফিসেই টানা দু’দিন কাজ হয়নি। লিঙ্ক নেই বলে গ্রাহকদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বুধবার কিছুটা কাজ হলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।