যেন এক টুকরো ভারতবর্ষ, গঙ্গাসাগর উপলক্ষ্যে চেনা ছন্দে বাবুঘাট
করোনার চোখ রাঙানি এখন অতীত। গঙ্গাসাগরকে কেন্দ্র করে ফের স্বমহিমায় বাবুঘাট। বাবু রাজচন্দ্র দাসের নামে নামাঙ্কিত ঘাটটি হয়ে উঠেছে এক টুকরো ভারতবর্ষ। সাগর মেলা উপলক্ষ্যে গোটা দেশ থেকে মানুষ এসেছেন বাবুঘাটের অস্থায়ী শিবিরে। কেবল দেশ নয়,
মকর সংক্রান্তির পবিত্র তিথিতে গঙ্গাসাগরে স্নান করে কপিলমুনির আশ্রমে পুজো দিয়ে পুণ্যলাভের উদ্দেশ্যেই এত বিপুল সংখ্যক ভক্তসমাগম হয় গঙ্গাসাগরে। ভক্তদের জন্যে অস্থায়ী শিবিরে খাওয়া-দাওয়া, পানীয় জল, স্নান, শৌচালয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যাবতীয় ব্যবস্থা দেখে অভিভূত শিবিরে আসা পুন্যার্থীরা। বাংলার সরকার এবং আয়োজকদের ধন্যবাদ দিচ্ছেন আগত পুন্যার্থীরা।
দেশের নানান রাজ্য, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, হরিয়ানা থেকে বহু পুণ্যার্থী এসেছেন এবার। অনেকেই সপরিবারে এসেছেন, কেউ কেউ আবার বন্ধুদের সঙ্গে এসেছেন। জনৈকা এক পুন্যার্থী জানিয়েছেন, বাংলায় গঙ্গাসাগর মেলায় আসলে কখনওই নিরাপত্তার অভাব বোধ করতে হয় না। থাকা-খাওয়ার সুন্দর ব্যবস্থা থাকে। তাঁর মতে, প্রতি বছর ব্যবস্থা আরও নিখুঁত হচ্ছে।
গোটা ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গঙ্গাসাগরে আসা লক্ষ লক্ষ ভক্ত মকর সংক্রান্তির পুণ্য তিথিতে স্নান সেরে পুজো দেবেন। সেই উপলক্ষ্যে, বাবুঘাটের গঙ্গাসাগর ট্রানজিট পয়েন্ট জমে উঠেছে। সন্ন্যাসী-সাধুসন্তরা ভিড় করেছেন। লঙ্গরখানাতেও উপচে পড়ছে ভিড়। জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগের তত্ত্বাবধানে রয়েছে পর্যাপ্ত পানীয় জলের ব্যবস্থা। কলকাতা পুরসভা আলো, প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে। রয়েছে অ্যাম্বুলেন্স। করোনার কথা চিন্তা করে কোভিড টেস্ট সেন্টারও রয়েছে। ফের চেনা আঙ্গিকে ধরা দিচ্ছে বাবুঘাট।