রাজ্য বিভাগে ফিরে যান

লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী সাগরের উদ্দ্যেশ্যে রওনা হয়েছেন, চিন্তা বাড়িয়েছে কুয়াশা

January 14, 2023 | 2 min read

সব তীর্থ বারবার গঙ্গাসাগর একবার! এই আপ্তবাক্যকে স্মরণ করেই লক্ষ লক্ষ পুণ্যার্থী সাগরের উদ্দ্যেশ্যে রওনা হয়েছেন।শনিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৩ মিনিটে আরম্ভ হচ্ছে মকরস্নানের পুণ্যলগ্ন। চলবে রবিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত। তার আগে ভিড় বাড়তে শুরু করেছে গঙ্গাসাগর মেলায়। শুক্রবার পর্যন্ত যা পরিস্থিতি, তাতে এবার জনজোয়ারে সর্বকালীন রেকর্ড ভাঙার সম্ভাবনা যথেষ্ট। রাজ্যের মন্ত্রীদের গলাতেও শোনা গিয়েছে সেই সুর। সরাকারের হিসেব, ইতিমধ্যেই সাগরে পুণ্যস্নান সেরে চলে গিয়েছেন ৩১ লক্ষের বেশি তীর্থযাত্রী। আগামী দু’দিন আরও ভিড় হবে। ফলে ভক্ত সংখ্যা ৫০ লক্ষ ছাড়িয়ে যেতে পারে বলেই মনে করছে প্রশাসন।

তবে এ সবের মধ্যে চিন্তা বাড়িয়েছে কুয়াশা। ঘন কুয়াশার কারণে শুক্রবার রাত ৯টার পর থেকে কাকদ্বীপের লট নম্বর-৮ থেকে ভেসেল পরিষেবা বন্ধ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত বন্ধ ছিল লট নম্বর-৮ ও কচুবেড়িয়ার মধ্যে ভেসেল পরিষেবা। যার ফলে শুক্রবার রাত থেকে প্রচুর পুণ্যার্থী আটকে রয়েছেন-৮ নম্বর লটে। এ দিকে ঘন কুয়াশার কারণে সকাল থেকে নামখানা-‌ বেনুবন পয়েন্টের লঞ্চ পরিষেবা ও বাস পরিষেবাও পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে।

ঘন কুয়াশার দাপট। মিলেনিয়াম পার্ক থেকে ছাড়ল না গঙ্গাসাগরগামী লঞ্চ। বাবুঘাট থেকেও ছাড়ছে না একটিও বাস। অত্যধিক কুয়াশায় দৃশ্যমানতা কমে যাওয়ায় শনিবার ভোর থেকে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখায় ট্রেন চলাচলও ব্যাহত হয়। তার মধ্যেই রাত ৩টে ৪৫ মিনিটের আপ ক্যানিং-শিয়ালদহ লোকাল আচমকাই চম্পাহাটি স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে। ট্রেনটির ইঞ্জিনে গোলযোগ দেখা দিয়েছিল। ফলে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ক্যানিং আপ লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বাতিল হয় ভোর ৪টে ৩২ এবং সকাল ৬টা ১৭ মিনিটের আপ ক্যানিং-শিয়ালদহ ট্রেন। দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। যদিও এ দিন তিনটি ট্রেন বাতিল হওয়ায় পর আবার সকাল ৬টা ৫০ মিনিট থেকে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়। ক্যানিং থেকে সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে আপ ক্যানিং-শিয়ালদহ লোকাল শিয়ালদহের দিকে রওনা দেয়। বেলার দিকে আবহাওয়ার সামান্য উন্নতি হওয়ায় ধীরে ধীরে চালু হয়েছে ভেসেল পরিষেবাও। তবে এখনও লট নম্বর-৮ এর কাছে বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থী আটকে রয়েছেন।

রবিবার সারাদিন স্নানের সময় পাবেন পুণ্যার্থীরা। তবে এবার সংক্রান্তিতে রাতেও পুণ্যলগ্ন রয়েছে, তাই বাড়তি সতর্ক প্রশাসন। এপ্রসঙ্গে অরূপবাবু বলেন, জেলা প্রশাসনের তরফে অতিরিক্ত ৩৩টি হাইমাস্ট আলো এবং ৯০টি ল্যাম্পপোস্ট বসানো হয়েছে। তিনি ছাড়াও এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন জনস্বাস্থ্য কারিগরিমন্ত্রী পুলক রায়, পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী, দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু সহ জেলা প্রশাসনের কর্তারা। মেলার প্রস্তুতির কথা বলার পাশাপাশি ভিড় নিয়ে পরিসংখ্যানও তাঁরা তুলে ধরেন। বাড়ি বসে অনেকে সাগরমেলা দেখেছেন। মন্ত্রীর কথায়, এদিন বিকেল পর্যন্ত ই-দর্শন করেছেন ৪০ লক্ষের বেশি মানুষ। ই-স্নানের অনলাইন অর্ডার এসেছে ১ হাজার ৮৩৪টি। অনলাইনে পুজো দিয়েছেন ১০ লক্ষ ৫০ হাজার ভক্ত।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #Gangasagar Mela, #Pilgrims, #Gangasagar mela 2023

আরো দেখুন