হোয়াটসঅ্যাপে তুলকালাম! ভারতীর মেসেজে আবারও প্রকাশ্যে দিলীপ-সুকান্ত কাজিয়া
ফের হোয়াটসঅ্যাপে তুলকালাম! বিজেপির অন্দরের কোন্দল মেটার নাম নেই, উল্টে দিনে দিনে তা বেড়েই চলেছে। কান পাতলা শোনা যায়, বর্তমান ও প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির শিবিরে আড়াতাড়ি বিভক্ত হয়ে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপি (BJP West Bengal)। ফের একবার সেই ঘটনাই প্রমাণিত হল ভারতী ঘোষের মেসেজে। বিজেপির শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের অভ্যন্তরীণ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র ভারতী ঘোষ হঠাৎ করেই এক মেসেজে করে বসেন। তিনি নাকি বলেছেন, বঙ্গ বিজেপির বর্তমান রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজমুদারের তুলনায় দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) জমানা অনেক ভাল ছিল। এই বিস্ফোরক মেসেজ ঘিরে আবারও প্রকাশ্যে এসে গিয়েছে বঙ্গ বিজেপির সুকান্ত ও দিলীপ গোষ্ঠীর বিবাদ।
ভারতীর ক্ষোভের শুরু বন্দে ভারত থেকে। ভারতীর (bharati ghosh) অভিযোগ, বন্দে ভারত এক্সপ্রেস উদ্বোধনে ভিভিআইপি কার্ড বিলি নিয়ে দুর্নীতি হয়েছে। অভিযোগ উঠছে, ভিভিআইপি তালিকায় নাম থাকলেও তিনি ও তার মতো অনেক নেতানেত্রীই নাকি সেদিনের অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পত্র পাননি। এই ঘটনায় সুকান্ত মজুমদার ও তাঁর নেতৃত্বাধীন রাজ্য কমিটিকে কাঠগড়ায় তুলেছেন ভারতী। তার দাবি, বহু নেতা-নেত্রীকে ইচ্ছাকৃতভাবে অপমান করছে বঙ্গ বিজেপির এখনকার পরিচালক গোষ্ঠী।
জানা গিয়েছে, ওই অনুষ্ঠানের ভিভিআইপি কার্ড বিলির দায়িত্বে ছিলেন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল। তিনি সুকান্ত গোষ্ঠীর লোক বলেই পরিচিত। হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তাকেও অভিযুক্ত করেছেন ভারতীদেবী। একই সঙ্গে দিলীপ ঘোষের আমলে যে এমনটা হত না, তাও বলেছেন ভারতী ঘোষ। ভারতীর কথায়, দিলীপবাবুর সময় কার্ড বিলির দায়িত্ব সুনির্দিষ্ট কয়েকজন নেতার উপর থাকত। ব্যক্তিগতভাবে ভিভিআইপি কার্ড প্রাপকদের তারাই ফোন করতেন। সাফ কথায় ভারতী ঘোষের মতে, দিলীপ ঘোষের সাংগঠনিক দক্ষতা অনেক বেশি ছিল। এই সুযোগে খোঁচা দিতে ভোলেননি দিলীপও। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির বক্তব্য, কার্ড বিলি নিয়ে গণ্ডগোল হয়েছিল। ভারতীকে গোটা ঘটনা কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষকদের জানানোর নিদান দিয়েছেন দিলীপ। তার দাবি, যাদের নামে কার্ড ইস্যু করা হয়েছে, তাদের বদলে অন্যরা মঞ্চ গেল, কী করে? গোটা ঘটনার তদন্ত দরকার। বন্দে ভারতের উদ্বোধন সরকারি অনুষ্ঠান, রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়।